মাথা ব্যথা সকলের কাছেই একটি পরিচিত রোগ। মাথা ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা হলেও কোনো কোনো সময় এ ব্যথার তীব্রতা অনেক বেশি হয়ে থাকে। মাথা ব্যথা শুরু হলে আমরা দ্রুত এ মাথা ব্যথা দ্রুত দূর করতে চাই। এজন্য আমরা জানতে চাই দ্রুত মাথা ব্যথা কমানোর ঔষধ সম্পর্কে। নিচে সবচেয়ে দ্রুত কার্যকরী মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম এবং ব্যবহারবিধি।
এ মাথা ব্যথা একটি সাধারণ কিন্তু কোনো কোনো সময় এটি অনেকের জন্য কষ্টদায়ক শারীরিক সমস্যা হয়ে যায়। মাথাব্যথার কারনে মৃদু থেকে শুরু করে তীব্র যন্ত্রণা পর্যন্ত হতে পারে এবং জীবনের দৈনন্দিন কার্যক্রমে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। সাধারণত স্ট্রেস, ঘুমের অভাব, ডিহাইড্রেশন এবং মাইগ্রেনের মতো সমস্যাগুলো মাথা ব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ। কিছু ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুকির ইঙ্গিতও হতে পারে।
সঠিক ঔষধ নির্বাচন মাথাব্যথা সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভুল ঔষধ গ্রহন করলে মাথা ব্যথা না কমে বরং আরও বাড়তে পারে। যার ফলে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বা সঠিক তথ্য জেনে ঔষধ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।
মাথা ব্যথা হওয়ার কারণ।
মাথা ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারনেই হয়ে থাকে। মানসিক চাপ বা স্ট্রেস মাথা ব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা সৃষ্টি করে যা মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে। শরীরে ডিহাইড্রেশন বা পানির অভাবও মাথা ব্যথা তৈরি করে থাকে। পুষ্টির ঘাটতি বিশেষত ভিটামিন ও খনিজের অভাবে মাথা ব্যথা বাড়তে পারে।
দীর্ঘ সময় ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোনের স্ক্রিনের সামনে কাজ করার ফলে চোখের ক্লান্তি হয় এটি মাথা ব্যথা হওয়ার একটি বড় কারণ। মাইগ্রেন বা ক্রনিক ব্যথা নিয়মিত মাথা ব্যথার সৃষ্টি করে। মহিলাদের ক্ষেত্রে হরমোনের পরিবর্তন যেমন মাসিকের সময় মাথা ব্যথার সম্ভাবনা বাড়ায়। এছাড়াও পরিবেশগত কারণ যেমন অতিরিক্ত শব্দ, উজ্জ্বল আলো, বা সাইনাস ইনফেকশন এর ফলেও মাথা ব্যথা হয়ে থাকে।
মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম ।
মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের ব্যবহার বিধি উল্লেখ করা হলো:
1.মাইগ্যান ২০০ মি.গ্রা. ( Mygan 200 mg )
মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম এর মধ্যে মাইগ্যান ২০০ মি.গ্রা. এ ট্যবলেটটি দ্রুত সময়ে মাথা ব্যথা নিরাময় করতে বেশ কার্যকরী একটি ঔষধ। মাইগ্রেনের তীব্র ব্যথা হলে দিনে ৩ টি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে। হালকা মাথা ব্যথা হলে দিনে ২ টি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই ট্যাবলেটটি সেবন নিষিদ্ধ। পাকস্থলীতে কোনো প্রকার ক্ষত বা সমস্যা থাকলে এ ট্যবলেটটি সেবন নিষিদ্ধ। অন্ত্রে রক্তপাত জনিত সমস্যা থাকলে এ ট্যবলেটটি এড়িয়ে যেতে হবে। গুরুত্বর হৃদযন্ত্রের এবং যকৃতে সমস্যা থাকলে এ ট্যাবলেটটি এড়িয়ে যেতে হবে। মাইগ্যান ২০০ মি.গ্রা. এক পাতার মূল্য ১০০ টাকা।
2. টাফনিল ২০০ মি.গ্রা. ( Tufnil 200 mg )
উল্লেখিত মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম এর মধ্যে টাফনিল ২০০ মি.গ্রা. এই ট্যাবলেটটি সবচেয়ে বেশি সেবন করা হয়ে থাকে। মাথা ব্যথা কমাতে এ ট্যাবলেটটি বেশ দ্রুত কার্যকর। তীব্র ব্যথা হলে তিন বেলা ৩টি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে।হালকা মাথা ব্যথা করলে দু’বেলা খাওয়ার পরে ২টি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রয়োগের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। পাকস্থলীতে আলসার জনিত সমস্যা থাকলে এ ট্যাবলেটটি সেবনে সতর্ক থাকতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ এবং যকৃতে সমস্যা থাকলে এ ট্যাবলেটটি সেবনে সতর্ক থাকতে হবে। টাফনিল ২০০ মি.গ্রা. এক পাতার মূল্য ১০০ টাকা।
3. এ্যারেইন ২০০ মি.গ্রা. ( Arain 200 mg )
উল্লেখিত মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম এর মধ্যে এ্যারেইন ২০০ মি.গ্রা. এই ট্যাবলেটটিও দ্রুত সময়ে মাথা ব্যথা নিরাময় করতে বেশ কার্যকরী। তীব্র ব্যথা হলে এ্যারেইন এ ট্যাবলেটটি তিন বেলা সেবন করতে হবে। হালকা মাথা ব্যথা করলে এ্যারেইন ট্যাবলেটটি দু’বেলা খাওয়ার পরে ২টি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে। এ্যারেইন ট্যাবলেটটি বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রয়োগের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। যকৃতে সমস্যা থাকলে এ ট্যাবলেটটি সেবনে সতর্ক হতে হবে। গর্ভাবস্থায় এ ট্যাবলেটটি সেবনের পূর্বে সতর্ক হতে হবে। এ্যারেইন ২০০ মি.গ্রা. এক পাতার মূল্য ১০০ টাকা।
4. মিনিয়াম ১০ মি.গ্রা. ( Minium 10 mg )
মিনিয়াম ১০ এ ট্যাবলেটটি মূলত সাধারান মাথা ব্যথা দূর করার জন্য ব্যবহার করার হয়। তাহলে জেনে নেওয়া যাক এ ট্যাবলেট এর ব্যবহার বিধি সম্পর্কে। মাথা ব্যথা তীব্র হলে মিনিয়াম ১০ মি.গ্রা. দিনে ৩/৪ টি ট্যাবলেট সেবন করতে পারেন। হালকা বা মাঝারি মাথা ব্যথা হলে ২টি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দিনে ১/২ ব্যথার তীব্রতা অনুযায়ী সেবন করতে হবে। গর্ভাবস্থায় সেবনের পূর্বে সতর্ক থাকতে হবে বা ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। স্নায়ুতন্ত্রে সমস্যা থাকলে এটি সেবনের পূর্বে সতর্ক থাকতে হবে। মিনিয়াম ১০ মি.গ্রা. এক পাতার মূল্য ৪৫ টাকা।
5. এনিলিক ২০০ মি.গ্রা. ( Anilic 200 mg )
উল্লেখিত মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম এর মধ্যে এনিলিক ২০০ মি.গ্রা. এই ট্যাবলেটটিও দ্রুত সময়ে মাথা ব্যথা নিরাময় করতে বেশ কার্যকরী হয়ে থাকে। প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে তীব্র মাথা ব্যথা হলে দিনে তিন বেলা সেবন করতে হবে। মাঝারি বা হালকা ব্যথা হলে দিনে ২টি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে এ ট্যাবলেটটি সেবন নিষিদ্ধ। পাকস্থলীতে সমস্যা থাকলে এ ট্যাবলেটটি সেবনের পূর্বে সতর্ক থাকতে হবে। অন্ত্রে রক্তপাত জনিত সমস্যা থাকলে এ ট্যাবলেটটি সেবনের পূর্বে সতর্ক থাকতে হবে। এনিলিক ২০০ মি.গ্রা. এক পাতার মূল্য ৮৫ টাকা।
6. ফ্লুজিন ১০ মি.গ্রা. ( Fluzin 10 mg )
মাথা ব্যথা কমাতে উল্লেখিত মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম এর মধ্যে ফ্লুজিন ১০ মি.গ্রা. এই ট্যাবলেটটি বেশ দ্রুত সময়ে মাথা ব্যথা নিরাময় করতে কার্যকরী হয়ে থাকে। ফ্লুজিন ১০ মি.গ্রা. ব্যথা তীব্র হলে ৩টি ট্যাবলেট সেবনের নির্দেশনা রয়েছে। মাথা ব্যথা মাঝারি হলে দিনে দু’বেলা এ ট্যাবলেটটি সেবন করতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে একটি ট্যাবলেট সেবন করানো যেতে পারে। গর্ভাবস্থায় ফ্লুজিন ১০ মি.গ্রা. ট্যাবলেটটি ব্যবহারের নিষিদ্ধতা রয়েছে। স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা থাকলে এ ট্যাবলেটটি সেবনে সতর্ক থাকতে হবে। ফ্লুজিন ১০ মি.গ্রা. এক পাতার মূল্য ৭০ টাকা।
7.নোমি ২.৫ মি.গ্রা. ( Nomi 2.5 mg )
নোমি ২.৫ মি.গ্রা. এ ট্যাবলেটটি মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম এর মধ্যে অন্যতম একটি কার্যকরী ট্যাবলেট।অনেক সময় এ ট্যাবলেটটি ডাক্তাররা মাথা ব্যথার এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট হিসেবে সেবন করর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ফ্লুজিন ১০ প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে মাথা ব্যথা তীব্র হলে দিনে দু’টি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে। ব্যথা মাঝারি হলে ফ্লুজিন ১০ এর একটি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ফ্লুজিন ১০ ট্যাবলেটটি সেবন নিষিদ্ধ। গর্ভাবস্থায় ফ্লুজিন ১০ ট্যাবলেটটি সেবনে নিষিদ্ধতা রয়েছে। স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ফ্লুজিন ১০ সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। পূর্বে থেকে গলায়, বুকে এবং ঘারে ব্যথা থাকলে এটি সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে। নোমি ২.৫ মি.গ্রা. এক পাতার মূল্য ১৪৫ টাকা।
8. নেমিটল ২০০ মি.গ্রা. ( Namitol 200 mg )
উপরে উল্লেখিত মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম এর মধ্যে নেমিটল ২০০ মি.গ্রা. এই ট্যাবলেটটিও বেশ দ্রুত সময়ে মাথা ব্যথা নিরাময় করতে কার্যকরী হয়ে থাকে। নেমিটল ২০০ মি.গ্রা. তীব্র ব্যথায় প্রাপ্তবয়স্কদের ৩/৪ ট্যাবলেট সেবন করতে পারেন। হালকা মাথা ব্যথা হলে নেমিটল ২০০ এর ২টি ট্যাবলেট খেতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে এ ট্যাবলেটটি সেবনে নিষিদ্ধতা রয়েছে। কারো মধ্যে পাকস্থলী জনিত সমস্যা থাকলে নেমিটল ২০০ সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে। গর্ভাবস্থায় নেমিটল ২০০ মি.গ্রা. সেবনের জন্য সুপারিশ করা হয় না। হৃদযন্ত্র এবং যকৃতে সমস্যা থাকলে এট্যাবলিটটি সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে।নেমিটল ২০০ মি.গ্রা. এক পাতার মূল্য ১০০ টাকা।
9. মাইগ্রেটল ২০০ মি.গ্রা. ( Migratol 200 mg )
মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম এর মধ্যে নেমিটল ২০০ মি.গ্রা. এই ট্যাবলেটটিও একই ভাবে মাথা ব্যথা নিরাময়ে বেশ কার্যকরী হয়ে থাকে। মাইগ্রেটল ২০০ তীব্র মাইগ্রেনের ব্যথায় দিনে তিনটি ট্যাবলেট সেবন করতে পারেন। মাইগ্রেনের ব্যথা মাঝারি হলে মাইগ্রেটল ২০০ এর ২টি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে মাইগ্রেটল ২০০ ট্যাবলেটটি সেবন নিষিদ্ধ। পাকস্থলীর আলসার এবং উচ্চ রক্তচাপ থাকলে মাইগ্রেটল ট্যাবলেটটি সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে। বয়স্কদের ক্ষেত্রে মাইগ্রেটল সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। গর্ভাবস্থায় মাইগ্রেটল ট্যাবলেটটি সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে। মাইগ্রেটল ২০০ মি.গ্রা. এক পাতার মূল্য ১০০ টাকা।
10. টলফেম ২০০ মি.গ্রা. ( Tolfem 200 mg )
মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম এর মধ্যে টলফেম ২০০ মি.গ্রা. এ ট্যবলেটটি দ্রুত সময়ে মাথা ব্যথা নিরাময় করে থাকে। টলফেম ২০০ মাথা ব্যথা তীব্রতর হলে দিনে ৩-৪টি ট্যাবলেট সেবন করা যেতে পারে। টলফেম ২০০ মাথা ব্যথা মাঝারি হলে দিনে দু’বেলা সেবন করতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে টলফেম ২০০ সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। টলফেম ২০০ ট্যাবলেটটি গর্ভাবস্থায় সেবনে নিষিদ্ধতা রয়েছে। কারো মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে টলফেম ২০০ সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে। আলসার জনিত সমস্যা থাকলে টলফেম ২০০ সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে। টলফেম ২০০ মি.গ্রা. এক পাতার মূল্য ১০০ টাকা।
মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
উপরে আমরা জেনেছি মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম এবং এর মূল্য সম্পর্কে। এখন আমরা জানবো মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে।
নিচে মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো উল্লেখ করা হলো:
- ডায়রিয়া হওয়া
- বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া
- ক্ষুদামন্দা ভাব দেখা দেওয়া
- ক্লান্তি অনুভব করা
- গ্যাস্ট্রিক হওয়া
- আলসার সমস্যা
- মূত্রাশয়ে সমস্যা
- কাপুনি হওয়া
- ত্বকে লালচে ভাব দেখা দেওয়া
- পেশিতে ব্যথা হওয়া
- যকৃতের সমস্যা হওয়া
- গলায় ব্যথা হওয়া
উল্লেখিত এ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো হয়ে থাকে মূলত ঔষধ অতিরিক্ত সেবন করার ফলে। তবে কোনো কোনো সময় সাধারণ অবস্থায়ও এ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তাই এই ঔষধ গুলো সেবনের পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মাথা ব্যথা প্রতিরোধের উপায়।
উপরে আমরা জেনেছি মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম সম্পর্কে এখন জানবো মাথা ব্যথা প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে। মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার পাশাপাশি এটি প্রতিরোধ করাও জরুরি।
নিচে মাথা ব্যথা প্রতিরোধের কিছু কার্যকর টিপস উল্লেখ করূহলো:
- পর্যাপ্ত ঘুম,প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের অভ্যাস করুন।
- স্ট্রেস কমাতে যোগব্যায়াম এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন।
- সঠিক সময়ে খাবার গ্রহন করুন কারণ দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকা মাথা ব্যথার কারণ।
- পর্যাপ্ত পানি পান করুন কেননা ডিহাইড্রেশন মাথা ব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ।
- নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন।
- তীব্র আলো শব্দ দূষণযুক্ত জায়গা থেকে দূরে থাকুন।
- দীর্ঘ সময় কম্পিউটার বা ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
- ঘন ঘন বা দীর্ঘস্থায়ী মাথা ব্যথা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এই টিপস গুলো অনুসরণ করলে সহজেই মাথা ব্যথা প্রতিরোধ করা যায়।