ধান হলো একটি দানাশস্য জাতীয় উদ্ভিদ। আমাদের দেশের প্রায় ৩৫ শতাংশ মানুষ ধান চাষ করে। ধান চাষে ধানের চারা রোপনের পরে এই চারাগাছকে বড় করতে পুষ্টিগুণ সম্পৃক্ত বিভিন্ন সার এবং ভিটামিন প্রয়োগ করতে হয়। এই পোস্ট আমরা জানাবো পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ নানা ধরনের ধানের ভিটামিন ঔষধ এর নাম এবং দাম সম্পর্কে।
ধানের ভিটামিন ঔষধ এর নাম।
বাংলাদেশ হলো একটি কৃষি প্রধান দেশ। বর্তমান সময়ে এদেশের প্রায় ৫৫/৬০ শতাংশ মানুষ কৃষি কাজ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। তার মধ্যে শতকরা ৩৫ শতাংশ মানুষ কৃষি কাজ করে থাকেন। ধান চাষ করতে হলে বিভিন্ন উপকরণ এবং বিভিন্ন উপাদান প্রয়োজন হয়।
ধানের চারাগাছ ছোট থেকে বড় করা পর্যন্ত বিভিন্ন সার এবং ধানের ভিটামিন ঔষধ ব্যবহার করতে হয়। ধানের চারাগাছকে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ করতে এবং উচ্চ ফলনশীল করতে বিভিন্ন ধানের ভিটামিন ঔষধ ব্যবহার করা হয়। তার মধ্যে অধিক কার্যকরী কয়েকটি ধানের ভিটামিন ঔষধ এর নাম নিচে তুলে ধরা হয়েছে।
ধানের ভিটামিন ঔষধ গুলো হলো:
- থিয়োভিট ( Thiovit )
- প্রোটোজিম ( Protozim )
- ফ্লোরা ( Flora )
- মিরাকুলান ( Miraculan )
- বায়োভিটা এক্স ( Bio Vita – X )
- অল উইন গোল্ড সুপার ( All win gold super )
- ইয়ারাভিটা বায়োট্র্যাক ( Yaravita – Biotrac )
উল্লেখিত ধানের ভিটামিন ঔষধ গুলো বর্তমান সময়ে অধিকাংশ কৃষক ব্যবহার করছেন। এই ঔষধ গুলো আপনার ফসলকে উচ্চফলনশীল করতে অধিক কার্যকর।
ধানের ভিটামিন ঔষধ এর ব্যবহার বিধি।
তোক্ষণ আমরা জেনেছি ধানের ভিটামিন ঔষধ এর নাম এবং ব্যবহার সম্পর্কে। এখন আমরা জানবো উল্লেখিত ধানের ঔষধ এর ব্যবহার বিধি সম্পর্কে।
ধানের ভিটামিন ঔষধ গুলোর ব্যবহার বিধি নিচে উল্লেখ করা হলো:
থিয়োভিট ( Thiovit 80 WG )
থিয়োভিট এই ভিটামিনটি ধানের চারাগাছ রোপনের ১৫ থাকে ২৫ দিন এর মধ্যে ব্যবহার করতে হবে। এটির কার্যকারীতা হচ্ছে এটি চারাগাছের গোড়া অধিক মোটা এবং দ্রুত বৃদ্ধি করবে।
প্রোটোজিম ( Protozim )
প্রোটিজম এই ভিটামিন ঔষধটি চারাগাছে ধান বের হওয়ার সময় বা এর কিছু সময় আগে ব্যবহার করতে হয়। এটি ১ লিটার পানিতে ২ মিলিগ্রাম ব্যবহার করতে হবে।
ফ্লোরা ( Flora )
ফ্লোরা ভিটামিনটি চারা রোপনের ২০ দিনের সময় একবার ৪০ দিন এবং ৬০ দিন সময়ে একবার করে ব্যবহার করতে হবে। এটি ১ লিটার পানিতে ৩ মিলিগ্রাম ব্যবহার করতে হবে।
মিরাকুলান ( Miraculan )
এই ভিটামিন ঔষধটিও চারা রোপনের পর ২০ দিনের সময় একবার ৪০ দিন এবং ৬০ দিন সময়ে একবার করে মোট ৩ বার ব্যবহার করতে হবে। এটি ১ লিটার পানিতে ১.৫ মিলিগ্রাম ব্যবহার করতে হবে।
বায়োভিটা এক্স ( Bio Vita – X )
বায়োভিটা এক্স ভিটামিনটি চারা রোপনের ২৫ দিনের সময় এবং ৫০/৬০ দিনের সময় মোট দু’বার ব্যবহার করতে পারেন। এটি ১ লিটার পানিতে ২ মিলিগ্রাম ব্যবহার করতে হবে।
অল উইন গোল্ড সুপার ( All win gold super )
এটি চারা রোপনের ২০ দিনের সময় এবং ধানের চিটা বের হওয়ার সময় ব্যবহার করতে হবে। এটি ১ হেক্টর জমিতে ৭৫০ মিলিগ্রাম ব্যবহার করতে হবে।
ইয়ারাভিটা বায়োট্র্যাক ( Yaravita – Biotrac )
এই ভিটামিনটি চারা রোপনের ২০ দিন পর পর ব্যবহার করতে পারেন। এটি ১ লিটার পানিতে ৩ মিলিগ্রাম ব্যবহার করতে হবে।
উপরে উল্লেখিত ভিটামিম গুলো চারাগাছ কোন অবস্থায় আছে তার উপর ভিত্তি করে ব্যবহার করতে হবে। তার জন্য অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিতে পারেন।
ধানের ভিটামিন ঔষধ এর দাম।
এতোক্ষণ আমরা জেনেছি ধানের ভিটামিন ঔষধ এর নাম এবং ব্যবহার সম্পর্কে। এখন তুলে ধরবো উল্লেখিত ধানের ভিটামিন ঔষধ এর দাম।
উল্লেখিত ধানের ভিটামিন ঔষধ গুলোর দাম নিচে উল্লেখ করা হলো:
থিয়োভিট ( Thiovit )
- থিয়োভিট ৫০০ গ্রাম ১৮০ টাকা।
- ১ কেজি ৩৩০ টাকা।
- ২ কেজি প্যাকেট এর মূল্য ৬৩০ টাকা।
প্রোটোজিম ( Protozim )
- প্রোটোজিম ৫০ মিলিগ্রাম ১৩০ টাকা।
- ১০০ মিলিগ্রাম ২৫০ টাকা।
- ৫০০ মিলিগ্রাম ১০০০ টাকা।
ফ্লোরা ( Flora )
- ফ্লোরা ১০০ মিলিগ্রাম ৮২ টাকা।
- ২৫০ মিলিগ্রাম ৫২৫ টাকা।
- ৫০০ মিলিগ্রাম ১০০০ টাকা।
মিরাকুলান ( Miraculan )
- মিরাকুলান ৫০ মিলিগ্রাম ৭৫ টাকা।
- ১০০ মিলিগ্রাম ১৫০ টাকা।
- মিরাকুলান ৫০০ মিলিগ্রাম ৭০০ টাকা।
বায়োভিটা এক্স ( Bio Vita – X )
- বায়োভিটা এক্স ১০০ মিলিগ্রাম ৪৮০ টাকা।
- ২৫০ মিলিগ্রাম এর মূল্য ১১৫০ টাকা।
অল উইন গোল্ড সুপার ( All win gold super )
- অল উইন গোল্ড সুপার ২৫০ মিলিগ্রাম ৪৫০ টাকা।
- ৫০০ মিলিগ্রাম ৮৮০ টাকা।
- ১ কেজি ১৩০০ টাকা।
ইয়ারাভিটা বায়োট্র্যাক ( Yaravita – Biotrac )
- ইয়ারাভিটা বায়োট্র্যাক ২৫০ মিলিগ্রাম ৬০০ টাকা।
- ৫০০ মিলিগ্রাম ১০৫০ টাকা।
উল্লেখিত মূল্য গুলো স্থান এবং সময় বেধে কিছুটা আলাদা হতে পারে।
ধানের গোড়া পচা রোগের ঔষধ।
ধানের গোড়া পচা রোগ বা বাকানী রোগ এটি একটি ক্ষতিকর রোগ। কেননা এই রোগটি হয়ে থাকে মূলত ধানের বীজ থেকে। এই রোগের বিভিন্ন লক্ষণ রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো এই রোগ হলে ধানের চারা স্বাভাবিক চারার চেয়ে দ্বিগুন লম্বা হয় এব পাতায় হলদে রং হয়ে যায়।
এই চারা গুলো বেশি দিন বাচে না যদি বাচে তবে তা থেকে চিটা ধান আসে। এই রোগটি হলে কোনো প্রকার কিটনাশক এবং ধানের ভিটামিন ঔষধ ব্যবহারে ফলন ভালো হয় না। তবে এই রোগের বেশ কয়েকটি ঔষধ রয়েছে তা নিচে তুলে ধরা হলো।
ধানের গোড়া পচা রোগের ঔষধ গুলো হলো:
- চ্যাম্পিয়ন ( Champion )
- ব্লিটক্স ( Blitox )
- কনজা ( Conza )
- কনজা প্লাস (Conza Plus )
- এমিস্টার টপ ( Amistar Top )
- অটোস্টিন ( Autostin )
- ম্যানসার ( mancer )
এই ঔষধ গুলো ব্যবহারে খুব দ্রুত চারার গোড়া পচা রোগ দূর হতে থাকে। এবং ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে চারার গোড়া পচা রোগ দূর হবে।
ধানের গোড়া পচা রোগের ঔষধ এর মূল্য।
ঔষধ গুলোর মূল্য নিচে উল্লেখ করা হলো:
- চ্যাম্পিয়ন ( Champion ): চ্যাম্পিয়ন ১০০ গ্রাম ২১০ টাকা এবং ৫০০ গ্রাম ১০০০ টাকা।
- ব্লিটক্স ( Blitox ): ব্লিটক্স ৫০ গ্রাম ১৭০ টাকা, ১০০ গ্রাম ৩২০ টাকা এবং ৫০০ গ্রাম ৬০০ টাকা।
- কনজা ( Conza ): কনজা ১০০ মিলিগ্রাম ১০৫ টাকা এবং ৫০০ মিলিগ্রাম ৪৬০ টাকা।
- কনজা প্লাস (Conza Plus ): কনজা প্লাস ১০০ মিলিগ্রাম ৯০ টাকা এবং ৫০০ মিলিগ্রাম ৪৩০ টাকা।
- এমিস্টার টপ ( Amistar Top ): এমিস্টার টপ ৫০ মিলিগ্রাম ২৩০ টাকা, ১০০ মিলিগ্রাম ৪৫০ টাকা এবং ৫০০ মিলিগ্রাম ১৯৫০ টাকা।
- অটোস্টিন ( Autostin ): অটোস্টিন ৫০ ডাব্লিউ ডি জি এর মূল্য ১৯০ টাকা।
- ম্যানসার ৭৫ ডাব্লিউ পি ( mancer ৭৫ WP ): ম্যানসার ৭৫ ডাব্লিউ পি এর মূল্য ৪৯০ টাকা।
ধানের চারা সবুজ রাখতে প্রয়োজনে ইউরিয়া প্রয়োগের পর কোনটি দিতে হয় ?
ধানের চারাগাছ রোপনের পর আমরা সেই কৃষি জমির বিভিন্ন ভাবে যত্ন নিয়ে থাকি। চারাগাছকে দ্রুত বৃদ্ধি এবং চারাগাছে যেন পোকামাকড় আক্রমণ না করতে পারে তার জন্য বিভিন্ন কীটনাশক এবং ধানের ভিটামিন ঔষধ ব্যবহার করে থাকি।
অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন ইউরিয়া সার ব্যবহারের পরও ধানের চারাগাছ হলদাটে হয়ে যায়। তাই আমরা জানতে চাই যে ধানের চারা সবুজ রাখতে প্রয়োজনে ইউরিয়া প্রয়োগের পর কোনটি দিতে হয়। ধানের চারা সবুজ রাখতে প্রয়োজনে ইউরিয়া প্রয়োগের পর কৃষি জমিতে জিপসাম ব্যবহার করতে হয়।
এটি ব্যবহারে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ধানের চারাগাছ গুলো সবুজ হতে শুরু করে। এটি ব্যবহারে সবচেয়ে দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়। ধানের খোল পচা রোগের লক্ষণ।
ধানের খোল পচা রোগ এই রোগটি একটি বীজবাহিত রোগ।
এই রোগটি সাধারনত রোগাক্রান্ত নাড়া ও বিকল্প পোষকে অবস্থান করে থাকে । ধানের চারাগাছে মাজরা পোকা এবং টুংরো রোগ আক্রান্ত গাছে এ রোগটি বেশি হয়ে থাকে। তাছাড়া আবহাওয়ার কারনেও এই রোগটি হয়ে থাকে যেমন গরম ও সেঁতসেঁতে আবহাওয়ায় এ রোগটি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে ।
বৃষ্টির সময় বাতাসের এবং পানির ঝাপটায় এ রোগটি এক চারাগাছ হতে অন্য চারাগাছে ছড়িয়ে পড়ে । এ খোলপচা রোগটি সাধারনত দেখা যায় সব মৌসুমেই হয়ে থাকে। যে যে লক্ষণ গুলো দেখে বুঝতে হবে যে ফসলে খোলপচা রোগটি হয়েছে।
ধানের খোল পচা রোগের লক্ষণ গুলো হলো:
- ধানের চারাগাছে এ রোগটি হলে প্রথমে খোলে ছোট ছোট নানা আকারের বাদামী রংয়ের দাগ পরে যায়।
- এ রোগটি ধানের চারাগাছের ডিগ পাতার খোলের মধ্যে সাধারণত থোড় অবস্থায দেখতে পাওয়া যায়।
- ধানের চারাগাছে এই দাগগুলো আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে।
- বড় হতে হতে সবগুলো দাগ একত্রে মিশে চারাগাছের সমস্ত খোলে ছড়িয়ে পড়ে।
- ধানের চারাগাছে এ রোগটি থাকা অবস্থায় যদি ধানের শীষ বের হয় তবে ধানে চিটা ও অপুষ্ট হয়।
তবে অনেক সময় দেখা যায় যে চারাগাছে ধানের শীষ অর্ধেক বের হয়। আবার কোনো কোনো শীষ একেবারেই বের হয় না।
ধানের খোল পচা রোগের ঔষধ এর নাম।
ধানের খোল পচা রোগ এ রোগটি ধানের চারাগাছের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর একটি রোগ। এ রোগটি হলে অনেক চারাগাছ দ্রুত নেতিয়ে পরে,ফলন ভালো হয় না এবং অধিকাংশ শীষ চিটা হয়ে থেকে যায়। যার ফলে আশানূরপ ফলন পাওয়া যায় না। তাই অনেকেই জানতে চাই যে ধানের খোল পচা রোগের ঔষধ এর নাম এবং ধানের ভিটামিন ঔষধ এর নাম সম্পর্কে ।
নিচে ধানের খোল পচা রোগের ঔষধ এর নাম উল্লেখ করা হলো:
- ফলিকুর ( Folicur )
- নাটিভো ( Nativo )
- এমকোজিম ৫০ ডব্লিউপি ( Amcozim 50 WP )
- কনটাফ ৫ ইসি ( Contaf 5 EC )
- সাবাব ৫ ইসি ( Shabab 5 EC )
- এমিস্টার টপ ১ ( Amistar Top 1 )
- নোইন ৫০ ডব্লিউপি ( Noin 50 WP )
ধানের খোল পচা রোগের ঔষধ এর ব্যবহার বিধি।
উল্লেখিত ঔষধ গুলোর ব্যবহার এবং দাম নিচে উল্লেখ করা হলো:
ফলিকুর ( Folicur )
- এটি ১ লিটার পানিতে ১ মিলিগ্রাম ব্যবহার করতে হবে।
- এটির মূল্য ১০০ মিলিগ্রাম ৩০০ টাকা।
নাটিভো ( Nativo )
- এটি ১ লিটার পানিতে ০.৫০ গ্রাম ব্যবহার করতে হবে।
- এটির মূল্য ১০ গ্রাম ১৪০ টাকা।
এমকোজিম ৫০ ডব্লিউপি ( Amcozim 50 WP )
- এটি ১ লিটার পানিতে ১ গ্রাম ব্যবহার করতে হবে।
- এটির মূল্য ৫৫০ গ্রাম ৪৯০ টাকা।
কনটাফ ৫ ইসি ( Contaf 5 EC )
- কনটাফ ৫ ইসি ১ লিটার পানিতে ১ গ্রাম ব্যবহার করতে হবে।
- এটির মূল্য ১০০০ মিলিগ্রাম ৯৫০ টাকা।
সাবাব ৫ ইসি ( Shabab 5 EC )
- সাবাব ৫ ইসি ১ লিটার পানিতে ১ গ্রাম ব্যবহার করতে হবে।
- এটির মূল্য ২০০ মিলিগ্রাম ২৬০ টাকা।
এমিস্টার টপ ১ ( Amistar Top 1 )
- এমিস্টার টপ ১ ১ লিটার পানিতে ১ গ্রাম ব্যবহার করতে হবে।
- এটির মূল্য ১০০ মিলিগ্রাম ৪৫০ টাকা।
নোইন ৫০ ডব্লিউপি ( Noin 50 WP )
- নোইন ৫০ ডব্লিউপি ১ লিটার পানিতে ২ গ্রাম ব্যবহার করতে হবে।
- এটির মূল্য ১০০০ গ্রাম ২১৫ টাকা।
ধানের ভাইরাস জনিত রোগ।
ধান চাষ করতে গেলে দেখা যায় ধানের বীজ বপন থেকে শুরু করে চারা রোপন পর্যন্ত বিভিন্ন রোগ বালাই হয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম হলো ধানের চারাগাছে ভাইরাসের আক্রমন। ধানের চারাগাছে ভাইরাসের আক্রমন হলে ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে থাকে।
ধানের চারাগাছে ভাইরাস আক্রমণ করলে ধানের ভিটামিন ঔষধ এ জাতীয় কোনো উপাদান ব্যবহারেও ধানের চারাগাছের বৃদ্ধি বা ফসল ভালো হয় না। চারাগাছে ভাইরাস আক্রমণ করলে তা আস্তে আস্তে মরে যেতে থাকে। ধানের কিছু উল্লেখযোগ্য ভাইরাস এর নাম বিচে উল্লেখ করা হলো।
ধানের ভাইরাস গুলো হলো :
- টুংরো ভাইরাস।
- গ্রাসি স্টান্ট ভাইরাস।
সাধারণ ধানের চারাগাছে এ দু’টি ভাইরাস বেশি আক্রমণ করে থাকে।
ধানে ভাইরাসের লক্ষণ।
ধানের চারাগাছে সাধারণত টুংরো এবং গ্রাসি স্টানট ভাইরাস বেশি আক্রমণ করে থাকে। এই ভাইরাস গুলো ধানের ফসলের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর । এই ভাইরাস একবার ফসলে আক্রমণ করলে ফসলে প্রায় ৩০% থেকে ৪০% ফলন কম হয়।
যার ফলে ধান চাষিদের অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। যে যে লক্ষণ গুলো দেখে বুঝতে হবে যে ফসলে ভাইরাস আক্রমণ করেছে কিনা তা নিচে তুলো ধরা হলো।
ধানে ভাইরাসের লক্ষণ গুলো হলো :
টুংরো ভাইরাস
- এই ভাইরাসটি ছড়ায় মূলত এক ধরনের ঘাস ফরিংয়ের মাধ্যমে।
- ফসলে টুংরো ভাইরাস আক্রমণ করলে ধানের কুশির সংখ্যা কমে যায়।
- পাতা ধীরে ধীরে হলদে রঙয়ের হয়ে যায়।
- সম্পূর্ণ পাতা হলুদ হয়ে গেলে ধীরে ধীরে তা কমলা রঙ ধারন করে।
গ্রাসি স্টান্ট ভাইরাস
- ধানের ফসলে এ ভাইরাসটি আক্রমণ করলে দেখা যায় স্বাভাবিক এর তুলনায় অধিক কুশি হয়ে থাকে।
- কিন্তু ফসলের বৃদ্ধি একেবারে কমে যায় এবং অধিক কুশি হওয়ার কারনে ফসল ঝোপালো হয়ে যায়।
- এ ভাইরাসটি সাধারণত ধানের চারাগাছের বৃদ্ধির সময় আক্রমণ করে থাকে।
ধানের ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ এর নাম।
ধানে ভাইরাসের আক্রমনের পাশাপাশি বেশকিছু ক্ষতিকর ব্যকটেরিয়াও আক্রমন করে থাকে যার ফলে ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে থাকে। ধানের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ব্যাকটেরিয়া রোগ এর নাম নিচে তুলে ধরা হলো।
ধানের ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ গুলো হলো:
- পাতা পোড়া রোগ।
- শীষ পোড়া রোগ।
- খোলপোড়া রোগ।
- ক্রিসেক বা নেতিয়ে পরা রোগ।
- ব্লাইট রোগ ইত্যাদি ।