হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা এর ঔষধ ও ঘরোয়া চিকিৎসা।

আঙ্গুলের ফাঁকে নানা রকমের কারনেই হতে পারে। তবে হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা হলে আমাদের দৈনন্দিন কাজ কর্ম করতে গেলে অনেক সমস্যা হয়ে থাকে। এজন্য আমরা যত দ্রুত সম্ভব এ ঘা নিরাময় করতে চাই। তাই আমরা জানতে চাই হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা এর ঔষধ এর নাম সম্পর্কে।

হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা এর ঔষধ এবং ব্যবহারের নির্দেশনা।

হাতে আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা তবে কিছু কিছু সময় এটি মারাত্মক হতে পারে। এটি মূলত সাধারণত আঘাত, অ্যালার্জি, বিভিন্ন সংক্রমণ যত্নের অভাবের কারণে হয়ে থাকে। হাতের আঙুলের ফাকের ঘা বাড়লে ব্যথা বা স্রাবের মতো সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাই হাতের আঙুলের ফাঁকে ঘা হলে সময়মতো চিকিৎসা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পোস্টে আমরা জানবো হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা সারানোর জন্য বিভিন্ন কার্যকরী ঔষধ এবং তাদের ব্যবহারের পদ্ধতি সম্পর্কে।

হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা হওয়ার কারণ।

হাতে আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। একদিকে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন যেমন অপরিষ্কার হাতের পরিচর্যা না করা বা অপরিষ্কার যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে সহজেই সংক্রমণ হতে পারে। অপরদিকে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস সংক্রমণও ঘা হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ।

ডায়াবেটিস বা অন্যান্য রোগের কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ঘা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া কিছু মানুষ অতিরিক্ত পানি বা আর্দ্রতার মধ্যে থাকার কারণে ত্বক ফেটে যায় যার ফলে হাতের আঙুলের ফাঁকে ঘা তৈরি হয়।বিভিন্ন সময় দেখা যায় অ্যালার্জি নিরাময় করতে আমরা বিভিন্ন ক্রিম ব্যবহার করি যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে আঙুলের ফাঁকে ঘা হতে পারে।

পড়ুন: কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ও জিহ্বায় ঘা হয়

সাধারণত এই কারণ গুলোর জন্যই হাতের আঙুলের ফাঁকে ঘা হয়ে থাকে।এ ঘা হলে আমরা তা দ্রুত এটি নিরাময় করতে চাই। তাই আমাদের জিজ্ঞাসা থাকে সবচেয়ে দ্রুত সময়ে কার্যকরী হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা এর ঔষধ কোন গুলো।

হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা এর ঔষধ এর নাম।

  1. ফ্লক্লক্স ৫০০ মি.গ্রা. ( Fluclox 500 mg ) ট্যাবলেট
  2. ট্রিকোডেরমা ( Tricoderma ) ক্রিম
  3. বেক্ট্রোসিন ( Bactrocin ) ক্রিম
  4. বায়োডিন ( Viodin ) ক্রিম
  5. নেবানল ( Nebanol ) ক্রিম
  6. ট্রেগো ( Trego ) ক্রিম
  7. পভিসেপ ( Povisep ) ক্রিম
  8. মোপি অয়েন্টমেন্ট ( Mupi Ointment ) ক্রিম

হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা হলে উল্লেখিত ঔষধ গুলোর যেকোন একটি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষত স্থানে প্রয়োগ করলে ৬-৭ দিনের মধ্যে ক্ষত শুকিয়ে যাবে। তবে হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা সম্পূর্ণ ভালো হওয়া পর্যন্ত ক্রিমটি প্রয়োগ করতে হবে।

হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা এর ঔষধ এর ব্যবহার বিধি এবং মূল্য।

অনেক সময় আমরা দেখতে পাই যে বিভিন্ন রোগের ঔষধ সেবন করার পরেও কোনো ফলাফল পাওয়া যায় না তার করণ হলো ঔষধ গুলোর সঠিক ব্যবহার। তাই এখন আমরা জানবো উল্লেখিত ঔষধ গুলো সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে।

উল্লেখিত ঔষধ গুলোর ব্যবহার নিচে উল্লেখ করা হলো:

Fluclox 500 mg : এটি দিনে দু’বার সকাল এবং সন্ধায় খাওয়ার পরে সেবন করতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দিনে ১টি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে। ফ্লক্লক্স ৫০০ মি.গ্রা. এর এক পাতার মূল্য ১৫০ টাকা।

Tricoderma :  ট্রিকোডেরমা এ ক্রিমটি দিনে দু’বার সকালে এবং সন্ধায় প্রয়োগ করতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে একবার প্রয়োগ করতে হবে। এর ২০ গ্রামের মূল্য ৯৫ টাকা।

Bactrocin : বেক্ট্রোসিন এ ক্রিমটি কাটা স্থানে দিনে তিনবার প্রয়োগ করতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এ ক্রিমটি দিনে দু’বার প্রয়োগ করতে হবে। একটি ১০ গ্রাম বেক্ট্রোসিন ক্রিম এর মূল্য ১৫০ টাকা।

Viodin : বায়োডিন এই ক্রিমটি দিনে দু’বার সকালে এবং সন্ধায় প্রয়োগ করতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দিনে একবার প্রয়োগ করতে হবে। বায়োডিন ২৫ গ্রাম ক্রিমের মূল্য ৫৫ টাকা।

Nebanol : নেবানল এ ক্রিমটি দিনে তিনবার প্রয়োগ করতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এ ক্রিমটি দিনে ১-২ বার প্রয়োগ করতে পারেন। নেবানল ১০ গ্রাম ক্রিমের মূল্য ৩০ টাকা।

Trego :  ট্রেগো এ ক্রিমটি দিনে তিনবার প্রয়োগ করতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এ ক্রিমটি দিনে দু’বার সকালে এবং সন্ধায় প্রয়োগ করতে হবে। ট্রেগো ১০ গ্রাম ক্রিমের মূল্য ১৪০ টাকা।

Povisep : পভিসেপ এই ক্রিমটি দিনে দু’বার সকালে এবং সন্ধায় প্রয়োগ করতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দিনে একবার প্রয়োগ করতে হবে। পভিসেপ ২৫ গ্রাম ক্রিমের মূল্য ৮৫ টাকা।

Mupi Ointment : মোপি অয়েন্টমেন্ট এই ক্রিমটি দিনে তিনবার প্রয়োগ করতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটি দিনে দু’বার প্রয়োগ করতে হবে। মোপি অয়েন্টমেন্ট ১০ গ্রাম ক্রিমের মূল্য ১৩৮ টাকা।

এভাবে ক্রিম গুলোর সঠিক ব্যবহার করলে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা শুকাতে শুরু করবে।

হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা এর ঔষধ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

হাতের আঙ্গুলের ফাঁকের ঘা নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত মলম বা ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নির্ভর করে ব্যবহৃত ঔষধের ধরণ এবং ব্যক্তির ত্বকের সংবেদনশীলতার ওপর। নিচে হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা এর ঔষধের কয়েকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • ত্বকে জ্বালাপোড়া এবং ত্বক লালচে হয়ে যাওয়া।
  • অ্যালার্জির কারণে ঔষধ ব্যবহার করার পর ত্বক ফোলাভাব, র‍্যাশ পরা এবং চুলকানি হওয়া।
  • হাতের চামড়া অতিরিক্ত শুষ্ক হওয়া।
  • ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাল সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি করা।
  • রক্তনালী স্পষ্ট হয়ে ওঠা এবং হরমোনাল ভারসাম্যে নষ্ট হওয়া।
  • মলম ব্যবহারের ফলে ত্বকে কালো দাগ এবং সাদা দাগ পরা।

হাতে আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা সারানোর ঔষধ ব্যবহার করলে উল্লেখিত এ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো দেখা দিতে পারে। উল্লেখিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো এড়াতে ঔষধ গুলো সঠিক নিয়মে ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা শুকানোর ঘরোয়া উপায়।

হাতে আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা হলে কাজকর্ম আমাদের বেশ সমস্যায় পরতে হয়। যে কারনে আমরা এটি দ্রুত নিরাময় করতে চাই তাই আমরা হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা এর ঔষধ প্রয়োগ করে থাকি। তবে এটি ঘরোয়া উপায়ে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নিরাময় করা সম্ভব। ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে কিভাবে এ ঘা নিরাময় করতে হবে তা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো:

মধু

মধু ব্যবহার করে আমরা আঙ্গুলের ঘা খুব সহজেই নিরাময় করতে পারি। মধু হলো একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক যা হাতের আঙ্গুলের ঘা দ্রুত নিরাময় করতে পারে। অল্প পরিমানে বা ১-২ ফোটা মধু ক্ষত স্থানে দিনে ৩-৪ বার প্রয়োগ করতে হবে এভাবে এক সপ্তাহ প্রয়োগ করতে হবে।

অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরা ব্যবহার করে হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা খুব সহজেই নিরাময় করা যায়। অ্যালোভেরার জেল প্রয়োগ করার পূর্বে ক্ষত স্থান এক গ্লাস পরিমান গরম পানিতে লবন মিশিয়ে সে পানি দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর অ্যালোভেরার জেল দিনে ৩ বার প্রয়োগ করতে হবে এভাবে ৩ থেকে ৪ দিন প্রয়োগ করতে হবে।

নারিকেল তেল

নারিকেল তেলও ঘা বা ক্ষত নিরাময় করতে বেশ দারুণ ভাবে কার্যকরী হয়ে থাকে। নারিকেল তেল ক্ষত স্থানকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে থাকে। কয়েক ফোটা করে নারিকেল তেল ঘা বা ক্ষত স্থানে দিনে ৩-৪ বার প্রয়োগ করতে হবে। এভাবে করে এক সপ্তাহ প্রয়োগ করতে হবে।

উল্লেখিত এ উপায় গুলো অবলম্বন করে হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নিরাময় করা সম্ভব।

হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে চুলকানি হয় কেন ?

নানা কারনেই হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে চুলকানি হতে পারে। একেক জনের একেক কারনে হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে চুলকানি হয়ে থাকে। সাধারণত বেশিরভাগ সময় যে কারনে হতের আঙুলের ফাকে চুলকানি হয়ে থাকে তা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো।

একজিমা

হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে চুলকানি হওয়ার একটি অন্যতম কারন হচ্ছে একজিমা। একজিমার কারনে হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে মারাত্মক চুলকানির সৃষ্টি করে। যার ফলে একসময় সেখানে ফাটল দেখা দেয় আর সেখান থেকেই ধীরে ঘা হয়ে যায়।

অ্যালার্জি

অ্যালার্জির কারনে হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে চুলকানি হতে পারে। যদি কোনো রাসায়নিক পণ্যে অ্যালার্জি থেকে থাকে যেমন সাবান এবং ডিটারজেন্ট এ ধরনের পণ্যের সাথে হাতের সংস্পর্শে এলে মারাত্নক চুলকানি হয়ে থাকে।

ক্ষতিকর ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া

অনেক সময় ক্ষতিকর ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে বাসা বাধে যার ফলে সেখানে ফাঙ্গাস হয়ে যায়। যার কারনে হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে চুলকানি হয়ে থাকে।

ত্বক শুষ্ক থাকা

শীতকালে ত্বক শুষ্ক থাকার কারনেও হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে মারাত্মক চুলকানির সৃষ্টি হয়ে থাকে।হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা এর ঔষধ

হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে চুলকানির প্রতিকার।

হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে চুলকানি হলে তা বিভিন্ন উপায়ে নিরাময় করা যায় সে উপায় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

প্রতিকারে উপায় গুলো হলো:

  1. সবসময় হাত এবং হাতের আঙ্গুল পরিষ্কার রাখতে হবে।
  2. আঙ্গুলের ফাঁকে নারিকেল তেল ব্যবহার করতে হবে।
  3. ঠান্ডা পানিতে কাপড় ভিজিয়ে আঙ্গুলের ফাঁকে লাগিয়ে রাখতে হবে দিনে ৩-৪ বার।
  4. আঙ্গুলের ফাঁকে যতই চুলকানি হোক তা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  5. খুব বেশি চুলকালে চুলকানির কিছু ক্রিম রয়েছে তা প্রয়োগ করতে হবে।

উল্লেখিত এ উপায় গুলো অবলম্বন করে খুব সহজেই হাতের আঙ্গুলের ফাঁকের চুলকানি দূর করতে পারেন।হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা এর ঔষধ ।

FAQ

হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা সারানোর জন্য সেরা ঔষধ কোনটি ?

উত্তরঃ হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা এর সেরা ঔষধ হলো নেবানল,বায়োডিন জাতীয় ক্রিম। এছারাও রয়েছে ঘরোয়া ঔষধ যেমন হলুদের পেস্ট।

হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা কখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয় ?

উত্তরঃ যদি ঘা দীর্ঘস্থায়ী হয়, ব্যথা বাড়ে, পুঁজ জমে এবং ইনফেকশন ছড়াতে শুরু করে তখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম ব্যবহারে কি ঘা পুরোপুরি সেরে যাবে ?

উত্তরঃ যদি সংক্রমণ কম হয় তাহলে অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম ব্যবহারে ঘা সেরে যাবে। তবে বড় সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে অন্যান্য ঔষধ সেবন করতে হবে।

ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে ঘা দ্রুত সেরে উঠবে কি ?

উত্তরঃ ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে ঘা সেরে উঠতে বেশ সময় লাগতে পারে। তবে সঠিক ঔষধ এবং চিকিৎসা নিলে দ্রুত সেরে যাবে।

হাতের আঙ্গুলের ঘা প্রতিরোধে কী করা উচিত ?

উত্তরঃ নিয়মিত হাত পরিষ্কার রাখা, আর্দ্র পরিবেশ এড়ানো এবং আঘাত থেকে রক্ষা পাওয়া।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে কি ঘা সারানো সম্ভব ?

উত্তরঃ হ্যাঁ, প্রাথমিক অবস্থায় হলুদ, অ্যালোভেরা, মধু ইত্যাদি প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে ঘা সারানো যেতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top