মাথা ব্যথা সকলের কাছেই একটি পরিচিত রোগ। মাথা ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা হলেও কোনো কোনো সময় এ ব্যথার তীব্রতা অনেক বেশি হয়ে থাকে। মাথা ব্যথা শুরু হলে আমরা দ্রুত এ মাথা ব্যথা দ্রুত দূর করতে চাই। এজন্য আমরা জানতে চাই দ্রুত মাথা ব্যথা কমানোর ঔষধ সম্পর্কে। নিচে সবচেয়ে দ্রুত কার্যকরী মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম ।

মাথায় ব্যথা নানা রকম কারনেই হয়ে থাকে। সাধারণত দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা,মাথায় আঘাত এবং উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি কারন গুলোর জন্য মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। মাথা ব্যথা হলে আমাদের বেশ অস্বস্তিতে পারতে হয়। তাই আমরা এ মাথা দ্রুত নিরূময় করতে চাই। নিচে মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম সহ ঔষধ গুলোর ব্যবহার বিধি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:

1. মাইগ্যান ২০০ মি.গ্রা. ( Mygan 200 mg ) ট্যাবলেট
2. টাফনিল ২০০ মি.গ্রা. ( Tufnil 200 mg ) ট্যাবলেট
3. এ্যারেইন ২০০ মি.গ্রা. ( Arain 200 mg ) ট্যাবলেট
4. মিনিয়াম ১০ মি.গ্রা. ( Minium 10 mg ) ট্যাবলেট
5. এনিলিক ২০০ মি.গ্রা. ( Anilic 200 mg ) ট্যাবলেট
6. ফ্লুজিন ১০ মি.গ্রা. ( Fluzin 10 mg ) ট্যাবলেট
7. নোমি ২.৫ মি.গ্রা. ( Nomi 2.5 mg ) ট্যাবলেট
8. নেমিটল ২০০ মি.গ্রা. ( Namitol 200 mg ) ট্যাবলেট
9. মাইগ্রেটল ২০০ মি.গ্রা. ( Migratol 200 mg ) ট্যাবলেট
10. টলফেম ২০০ মি.গ্রা. ( Tolfem 200 mg ) ট্যাবলেট

উল্লেখিত এ ঔষধ গুলো খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মাথা ব্যথা দূর করতে বেশ কার্যকরী হয়ে থাকে।

মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের ব্যবহার বিধি।

উপরে আমরা জেনেছি মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম সম্পর্কে। এখন আমরা জানবো মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের ব্যবহার বিধি সম্পর্কে।

মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের ব্যবহার বিধি উল্লেখ করা হলো:

1.মাইগ্যান ২০০ মি.গ্রা. ( Mygan 200 mg )

মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম এর মধ্যে মাইগ্যান ২০০ মি.গ্রা. এ ট্যবলেটটি দ্রুত সময়ে মাথা ব্যথা নিরাময় করতে বেশ কার্যকরী একটি ঔষধ।

মাইগ্যান ২০০ মি.গ্রা. এর ব্যবহার বিধি নিচে উল্লেখ করা হলো:

• মাইগ্রেনের তীব্র ব্যথা হলে দিনে ৩ টি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে।
• হালকা মাথা ব্যথা হলে দিনে ২ টি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে।
• বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই ট্যাবলেটটি সেবন নিষিদ্ধ।

মাইগ্যান ২০০ মি.গ্রা. ব্যবহারে প্রতি নির্দেশনা:

• পাকস্থলীতে কোনো প্রকার ক্ষত বা সমস্যা থাকলে এ ট্যবলেটটি সেবন নিষিদ্ধ।
• অন্ত্রে রক্তপাত জনিত সমস্যা থাকলে এ ট্যবলেটটি এড়িয়ে যেতে হবে।
• গুরুত্বর হৃদযন্ত্রের এবং যকৃতে সমস্যা থাকলে এ ট্যাবলেটটি এড়িয়ে যেতে হবে।

যদি উল্লেখিত এ রোগ গুলো আপনার মধ্যে থাকে তাহলে এ ট্যাবলেটটি সেবন করার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

2. টাফনিল ২০০ মি.গ্রা. ( Tufnil 200 mg )

উল্লেখিত মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম এর মধ্যে টাফনিল ২০০ মি.গ্রা. এই ট্যাবলেটটি সবচেয়ে বেশি সেবন করা হয়ে থাকে। মাথা ব্যথা কমাতে এ ট্যাবলেটটি বেশ দ্রুত কার্যকর।

টাফনিল ২০০ মি.গ্রা. ট্যাবলেটটির ব্যবহার বিধি নিচে উল্লেখ করা হলো:

• তীব্র ব্যথা হলে তিন বেলা ৩টি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে।
• হালকা মাথা ব্যথা করলে দু’বেলা খাওয়ার পরে ২টি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে।
• বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রয়োগের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

টাফনিল ২০০ মি.গ্রা. ব্যবহারে প্রতি নির্দেশনা:

• অ্যাজমা জনিত সমস্যা থাকলে এ ট্যাবলেটটি সেবনে সতর্ক থাকতে হবে।
• পাকস্থলীতে আলসার জনিত সমস্যা থাকলে এ ট্যাবলেটটি সেবনে সতর্ক থাকতে হবে।
• উচ্চ রক্তচাপ এবং যকৃতে সমস্যা থাকলে এ ট্যাবলেটটি সেবনে সতর্ক থাকতে হবে।

যদি উল্লেখিত এ রোগ গুলো আপনার মধ্যে থাকে তাহলে টাফনিল ২০০ মি.গ্রা. ট্যাবলেটটি সেবন করার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

3. এ্যারেইন ২০০ মি.গ্রা. ( Arain 200 mg )

উল্লেখিত মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম এর মধ্যে এ্যারেইন ২০০ মি.গ্রা. এই ট্যাবলেটটিও দ্রুত সময়ে মাথা ব্যথা নিরাময় করতে বেশ কার্যকরী।

এ্যারেইন ২০০ মি.গ্রা. ট্যাবলেটটির ব্যবহার বিধি নিচে উল্লেখ করা হলো:

• তীব্র ব্যথা হলে এ্যারেইন এ ট্যাবলেটটি তিন বেলা সেবন করতে হবে।
• হালকা মাথা ব্যথা করলে এ্যারেইন ট্যাবলেটটি দু’বেলা খাওয়ার পরে ২টি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে।
• এ্যারেইন ট্যাবলেটটি বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রয়োগের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

এই ট্যাবলেটটি ব্যবহারে প্রতি নির্দেশনা:

• পাকস্থলী এবং অন্ত্রে রক্তপাত জনিত সমস্যা থাকলে এ ট্যাবলেটটি সেবনে সতর্ক হতে হবে।
• যকৃতে সমস্যা থাকলে এ ট্যাবলেটটি সেবনে সতর্ক হতে হবে।
• গর্ভাবস্থায় এ ট্যাবলেটটি সেবনের পূর্বে সতর্ক হতে হবে।

যদি উল্লেখিত সমস্যা গুলো আপনার মাঝে থেকে থাকে তাহলে এ ট্যাবলেটটি সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

4. মিনিয়াম ১০ মি.গ্রা. ( Minium 10 mg )

মিনিয়াম ১০ এ ট্যাবলেটটি মূলত সাধারান মাথা ব্যথা দূর করার জন্য ব্যবহার করার হয়। তাহলে জেনে নেওয়া যাক এ ট্যাবলেট এর ব্যবহার বিধি সম্পর্কে।

মিনিয়াম ১০ মি.গ্রা. ট্যাবলেটটির ব্যবহার বিধি নিচে উল্লেখ করা হলো:

• মাথা ব্যথা তীব্র হলে মিনিয়াম ১০ মি.গ্রা. দিনে ৩/৪ টি ট্যাবলেট সেবন করতে পারেন।
• হালকা বা মাঝারি মাথা ব্যথা হলে ২টি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে।
• বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দিনে ১/২ ব্যথার তীব্রতা অনুযায়ী সেবন করতে হবে।

এই ট্যাবলেটটি ব্যবহারে প্রতি নির্দেশনা:

• গর্ভাবস্থায় সেবনের পূর্বে সতর্ক থাকতে হবে বা ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
• স্নায়ুতন্ত্রে সমস্যা থাকলে এটি সেবনের পূর্বে সতর্ক থাকতে হবে।
• বয়স্কদের এ ট্যাবলেটটি সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

এ ট্যাবলেটটি সেবনের ক্ষেত্রে উল্লেখিত সমস্যা গুলো আপনার মধ্যে থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে সেবন করতে হবে।

5. এনিলিক ২০০ মি.গ্রা. ( Anilic 200 mg )

উল্লেখিত মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম এর মধ্যে এনিলিক ২০০ মি.গ্রা. এই ট্যাবলেটটিও দ্রুত সময়ে মাথা ব্যথা নিরাময় করতে বেশ কার্যকরী হয়ে থাকে।

এনিলিক ২০০ মি.গ্রা. ট্যাবলেটটির ব্যবহার বিধি নিচে উল্লেখ করা হলো:

• প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে তীব্র মাথা ব্যথা হলে দিনে তিন বেলা সেবন করতে হবে।
• মাঝারি বা হালকা ব্যথা হলে দিনে ২টি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে।
• শিশুদের ক্ষেত্রে এ ট্যাবলেটটি সেবন নিষিদ্ধ।

এনিলিক ২০০ ব্যবহারে প্রতিনির্দেশনা:

• পাকস্থলীতে সমস্যা থাকলে এ ট্যাবলেটটি সেবনের পূর্বে সতর্ক থাকতে হবে।
• অন্ত্রে রক্তপাত জনিত সমস্যা থাকলে এ ট্যাবলেটটি সেবনের পূর্বে সতর্ক থাকতে হবে।
• হৃদযন্ত্র বা শ্বাসনালীতে থাকলে এ ট্যাবলেটটি সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

এ ট্যাবলেটটি সেবনের ক্ষেত্রে উল্লেখিত সমস্যা গুলো আপনার মধ্যে থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে সেবন করতে হবে।

6. ফ্লুজিন ১০ মি.গ্রা. ( Fluzin 10 mg )

মাথা ব্যথা কমাতে উল্লেখিত মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম এর মধ্যে ফ্লুজিন ১০ মি.গ্রা. এই ট্যাবলেটটি বেশ দ্রুত সময়ে মাথা ব্যথা নিরাময় করতে কার্যকরী হয়ে থাকে।

ফ্লুজিন ১০ মি.গ্রা. ট্যাবলেটটির ব্যবহার বিধি নিচে উল্লেখ করা হলো:

• ফ্লুজিন ১০ মি.গ্রা. ব্যথা তীব্র হলে ৩টি ট্যাবলেট সেবনের নির্দেশনা রয়েছে।
• মাথা ব্যথা মাঝারি হলে দিনে দু’বেলা এ ট্যাবলেটটি সেবন করতে হবে।
• বাচ্চাদের ক্ষেত্রে একটি ট্যাবলেট সেবন করানো যেতে পারে।

ফ্লুজিন ১০ মি.গ্রা. ব্যবহারের প্রতি নির্দেশনা:

• গর্ভাবস্থায় ফ্লুজিন ১০ মি.গ্রা. ট্যাবলেটটি ব্যবহারের নিষিদ্ধতা রয়েছে।
• স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা থাকলে এ ট্যাবলেটটি সেবনে সতর্ক থাকতে হবে।
• বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ফ্লুজিন ১০ মি.গ্রা. ট্যাবলেটটি সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

এ ট্যাবলেটটি সেবনের ক্ষেত্রে উল্লেখিত সমস্যা গুলো কারো মধ্যে থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে সেবন করতে হবে।

7.নোমি ২.৫ মি.গ্রা. ( Nomi 2.5 mg )

নোমি ২.৫ মি.গ্রা. এ ট্যাবলেটটি মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম এর মধ্যে অন্যতম একটি কার্যকরী ট্যাবলেট।অনেক সময় এ ট্যাবলেটটি ডাক্তাররা মাথা ব্যথার এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট হিসেবে সেবন করর পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ফ্লুজিন ১০ মি.গ্রা. ট্যাবলেটটির ব্যবহার বিধি নিচে উল্লেখ করা হলো:

• ফ্লুজিন ১০ প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে মাথা ব্যথা তীব্র হলে দিনে দু’টি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে।
• ব্যথা মাঝারি হলে ফ্লুজিন ১০ এর একটি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে।
• বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ফ্লুজিন ১০ ট্যাবলেটটি সেবন নিষিদ্ধ।

ফ্লুজিন ১০ সেবনের প্রতি নির্দেশনা:

• গর্ভাবস্থায় ফ্লুজিন ১০ ট্যাবলেটটি সেবনে নিষিদ্ধতা রয়েছে।
• স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ফ্লুজিন ১০ সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
• পূর্বে থেকে গলায়, বুকে এবং ঘারে ব্যথা থাকলে এটি সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে।

তবে ডাক্তারের পরামর্শে যেকো অবস্থাতেই আপনি এ ট্যাবলেটটি সেবন করতে পারেন।

8. নেমিটল ২০০ মি.গ্রা. ( Namitol 200 mg )

উপরে উল্লেখিত মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম এর মধ্যে নেমিটল ২০০ মি.গ্রা. এই ট্যাবলেটটিও বেশ দ্রুত সময়ে মাথা ব্যথা নিরাময় করতে কার্যকরী হয়ে থাকে।

নেমিটল ২০০ মি.গ্রা. ট্যাবলেটটির ব্যবহার বিধি নিচে উল্লেখ করা হলো:

• নেমিটল ২০০ মি.গ্রা. তীব্র ব্যথায় প্রাপ্তবয়স্কদের ৩/৪ ট্যাবলেট সেবন করতে পারেন।
• হালকা মাথা ব্যথা হলে নেমিটল ২০০ এর ২টি ট্যাবলেট খেতে হবে।
• শিশুদের ক্ষেত্রে এ ট্যাবলেটটি সেবনে নিষিদ্ধতা রয়েছে।

নেমিটল ২০০ মি.গ্রা. ব্যবহারে প্রতি নির্দেশনা:

• কারো মধ্যে পাকস্থলী জনিত সমস্যা থাকলে নেমিটল ২০০ সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে।
• গর্ভাবস্থায় নেমিটল ২০০ মি.গ্রা. সেবনের জন্য সুপারিশ করা হয় না।
• হৃদযন্ত্র এবং যকৃতে সমস্যা থাকলে এট্যাবলিটটি সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে।

উল্লেখিত সমস্যা গুলো আপনার মধ্যে থাকলেও ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ট্যাবলেটটি সেবন করতে পারেন।

9. মাইগ্রেটল ২০০ মি.গ্রা. ( Migratol 200 mg )

মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম এর মধ্যে নেমিটল ২০০ মি.গ্রা. এই ট্যাবলেটটিও একই ভাবে মাথা ব্যথা নিরাময়ে বেশ কার্যকরী হয়ে থাকে।

মাইগ্রেটল ২০০ মি.গ্রা. ট্যাবলেটটির ব্যবহার বিধি নিচে উল্লেখ করা হলো:

• মাইগ্রেটল ২০০ তীব্র মাইগ্রেনের ব্যথায় দিনে তিনটি ট্যাবলেট সেবন করতে পারেন।
• মাইগ্রেনের ব্যথা মাঝারি হলে মাইগ্রেটল ২০০ এর ২টি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে।
• বাচ্চাদের ক্ষেত্রে মাইগ্রেটল ২০০ ট্যাবলেটটি সেবন নিষিদ্ধ।

মাইগ্রেটল ২০০ মি.গ্রা. ব্যবহারে প্রতি নির্দেশনা:

• পাকস্থলীর আলসার এবং উচ্চ রক্তচাপ থাকলে মাইগ্রেটল ট্যাবলেটটি সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে।
• বয়স্কদের ক্ষেত্রে মাইগ্রেটল সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
• গর্ভাবস্থায় মাইগ্রেটল ট্যাবলেটটি সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে।

উল্লেখিত সমস্যা গুলো কারো মধ্যে থাকলে মাইগ্রেটল ট্যাবলেটটি সেবনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার বেশ ঝুঁকি রয়েছে।

10. টলফেম ২০০ মি.গ্রা. ( Tolfem 200 mg )

মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম এর মধ্যে টলফেম ২০০ মি.গ্রা. এ ট্যবলেটটি দ্রুত সময়ে মাথা ব্যথা নিরাময় করে থাকে।

টলফেম ২০০ মি.গ্রা. ট্যাবলেটটির ব্যবহার বিধি নিচে উল্লেখ করা হলো:

• টলফেম ২০০ মাথা ব্যথা তীব্রতর হলে দিনে ৩-৪টি ট্যাবলেট সেবন করা যেতে পারে।
• টলফেম ২০০ মাথা ব্যথা মাঝারি হলে দিনে দু’বেলা সেবন করতে হবে।
• বাচ্চাদের ক্ষেত্রে টলফেম ২০০ সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

টলফেম ২০০ ব্যবহারের প্রতি নির্দেশনা:

• টলফেম ২০০ ট্যাবলেটটি গর্ভাবস্থায় সেবনে নিষিদ্ধতা রয়েছে।
• কারো মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে টলফেম ২০০ সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে।
• আলসার জনিত সমস্যা থাকলে টলফেম ২০০ সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে।

উল্লেখিত সমস্যা গুলো থাকার পরেও যদি ডাক্তার দ্বারা এ ট্যাবলেটটি সেবনের নির্দেশনা থাকে তবে সেবন করতে পারেন।

মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের মূল্য।

এতোক্ষণ আমরা জেনেছি মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম এবং ঔষধ গুলোর ব্যবহার বিধি সম্পর্কে। এখন আমরা জানবো উল্লেখিত মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের মূল্য সম্পর্কে।

নিচে মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের মূল্য উল্লেখ করা হলো:

• মাইগ্যান ২০০ মি.গ্রা. ( Mygan 200 mg ): মাইগ্যান ২০০ মি.গ্রা. এর ১টি ট্যাবলেটের মূল্য ১০ টাকা। মাইগ্যান ২০০ মি.গ্রা. এক পাতার মূল্য ১০০ টাকা।
• টাফনিল ২০০ মি.গ্রা. ( Tufnil 200 mg ): টাফনিল ২০০ মি.গ্রা. এর ১টি ট্যাবলেটের মূল্য ১০ টাকা। টাফনিল ২০০ মি.গ্রা. এক পাতার মূল্য ১০০ টাকা।
• এ্যারেইন ২০০ মি.গ্রা. ( Arain 200 mg ): এ্যারেইন ২০০ মি.গ্রা. এর ১টি ট্যাবলেটের মূল্য ১০ টাকা। এ্যারেইন ২০০ মি.গ্রা. এক পাতার মূল্য ১০০ টাকা।
• মিনিয়াম ১০ মি.গ্রা. ( Minium 10 mg ): মিনিয়াম ১০ মি.গ্রা. এর ১টি ট্যাবলেটের মূল্য ৫ টাকা। * মিনিয়াম ১০ মি.গ্রা. এক পাতার মূল্য ৪৫ টাকা।
• এনিলিক ২০০ মি.গ্রা. ( Anilic 200 mg ): এনিলিক ২০০ মি.গ্রা. এর ১টি ট্যাবলেটের মূল্য ৯ টাকা। এনিলিক ২০০ মি.গ্রা. এক পাতার মূল্য ৮৫ টাকা।
• ফ্লুজিন ১০ মি.গ্রা. ( Fluzin 10 mg ): ফ্লুজিন ১০ মি.গ্রা. এর ১টি ট্যাবলেটের মূল্য ৭ টাকা। ফ্লুজিন ১০ মি.গ্রা. এক পাতার মূল্য ৭০ টাকা।
• নোমি ২.৫ মি.গ্রা. ( Nomi 2.5 mg ): নোমি ২.৫ মি.গ্রা. এর ১টি ট্যাবলেটের মূল্য ২৫ টাকা। নোমি ২.৫ মি.গ্রা. এক পাতার মূল্য ১৪৫ টাকা।
• নেমিটল ২০০ মি.গ্রা. ( Namitol 200 mg ): নেমিটল ২০০ মি.গ্রা. এর ১টি ট্যাবলেটের মূল্য ১০ টাকা। নেমিটল ২০০ মি.গ্রা. এক পাতার মূল্য ১০০ টাকা।
• মাইগ্রেটল ২০০ মি.গ্রা. ( Migratol 200 mg ): মাইগ্রেটল ২০০ মি.গ্রা. এর ১টি ট্যাবলেটের মূল্য ১০ টাকা। মাইগ্রেটল ২০০ মি.গ্রা. এক পাতার মূল্য ১০০ টাকা।
• টলফেম ২০০ মি.গ্রা. ( Tolfem 200 mg ): টলফেম ২০০ মি.গ্রা. এর ১টি ট্যাবলেটের মূল্য ১০ টাকা। টলফেম ২০০ মি.গ্রা. এক পাতার মূল্য ১০০ টাকা।

মাথা ব্যথার ১০টি ট্যাবলেটের উল্লেখিত মূল্য গুলো স্থান এবং সময় বেধে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।

মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

উপরে আমরা জেনেছি মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম এবং এর মূল্য সম্পর্কে। এখন আমরা জানবো মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে।

নিচে মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো উল্লেখ করা হলো:

( Mygan 200 mg ) মাইগ্যান ২০০ মি.গ্রা.

• ডায়রিয়া হওয়া
• বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া
• ক্ষুদামন্দা ভাব দেখা দেওয়া
• ক্লান্তি অনুভব করা ইত্যাদি

( Tufnil 200 mg ) টাফনিল ২০০ মি.গ্রা.

• গ্যাস্ট্রিক হওয়া
• বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া
• আলসার সমস্যা
• মূত্রাশয়ে সমস্যা ইত্যাদি

( Arain 200 mg ) এ্যারেইন ২০০ মি.গ্রা.

• ক্ষুধা মন্দা ভাব
• কাপুনি হওয়া
• ক্লান্তি অনুভব করা
• হেপাটাইটিস হওয়া

( Minium 10 mg ) মিনিয়াম ১০ মি.গ্রা.

• বুক জ্বালা করা
• ক্লান্তি ভাব হওয়া
• পেশিতে ব্যথা হওয়া
• ত্বকে লালচে ভাব দেখা দেওয়া

( Anilic 200 mg ) এনিলিক ২০০ মি.গ্রা.

• ডায়রিয়া হতে পারে
• ক্ষুধামন্দা হওয়া
• বমি বমি ভাব এবং বমি হতে পারে
• শ্বাসকষ্ট হওয়া

( Fluzin 10 mg ) ফ্লুজিন ১০ মি.গ্রা.

• বুকে জ্বালা হওয়া
• ক্লান্তি বেড়ে যাওয়া
• ত্বকে জ্বালা হওয়া
• পেশিতে ব্যথা করা

( Nomi 2.5 mg ) নোমি ২.৫ মি.গ্রা.

• গলায় ব্যথা হওয়া
• হাতে পায়ে জ্বালা করা
• শরীর দূর্বল হয়ে যাওয়া
• মুখ শুষ্ক হয়ে যাওয়া

( Namitol 200 mg ) নেমিটল ২০০ মি.গ্রা.

• শ্বাসকষ্ট হওয়া
• অনবরত বমি হওয়া
• ডায়রিয়া হওয়া
• শরীরে কাঁপুনি হওয়া

( Migratol 200 mg ) মাইগ্রেটল ২০০ মি.গ্রা.

• গ্যাস্ট্রিক হতে পারে
• হেপাটাইটিস হতে পারে
• অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব হওয়া
• বমি হওয়া

( Tolfem 200 mg ) টলফেম ২০০ মি.গ্রা.

• মুত্রে সমস্যা হওয়া
• ক্ষুধা মন্দা বেড়ে যাওয়া
• যকৃতের সমস্যা হওয়া
• বমি বমি ভাব এবং বমি হতে পারে।

উল্লেখিত এ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো হয়ে থাকে মূলত ঔষধ অতিরিক্ত সেবন করার ফলে। তবে কোনো কোনো সময় সাধারণ অবস্থায়ও এ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তাই এই ঔষধ গুলো সেবনের পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।