জ্বর আমাদের ছোট বড় সকলের কাছেই বেশ পরিচিত একটি অসুখ। জ্বর একটি সাধারণ অসুখ হলেও কোনো কোনো সময় এটি বেশ ভয়াবহ হয়ে থাকে। তাই জ্বর হলে আমাদের সকলকে সঠিক পরিচর্যা এবং ঔষধ গ্রহনের মাধ্যমে এটি নিরাময়ের চেষ্টা করতে হবে। জ্বর হলে আমরা এ রোগটি থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে ঔষধ সেবন করতে চাই। তাই আমরা অনেকেই জানতে চাই জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম বাংলাদেশ সম্পর্কে।
জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম বাংলাদেশ ।
সাধারণত যখন আমাদের ভাইরাস জ্বর হয়ে থকে তখন জ্বরের সাধারণ ঔষধ গুলো সেবন করেও জ্বর নিরাময় হয় না,তখন প্রয়োজন হয় জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধের।তাই আমরা জানতে চাই জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম বাংলাদেশ সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কয়েকটি জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধ এর নাম সম্পর্কে।
নিচে কয়েকটি জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম উল্লেখ করা হলো:
- Ciprocin 500 mg – সিপ্রোসিন ৫০০ মি.গ্রা.
- Cef-3 200 mg – সেফ-৩ ২০০ মি.গ্রা.
- Clavurox 500 – ক্ল্যাভুরক্স ৫০০
- Neofloxin 500 – নিউফ্লক্সিন ৫০০
- Amoxicillin – অ্যামোক্সিসিলিন
- Doxycycline – ডক্সিসাইক্লিন
- Zimax 500 mg – জিম্যাক্স ৫০০ মি.গ্রা.
- Zimax 250 mg – জিম্যাক্স ২৫০ মি.গ্রা.
- Azin 500 mg – এ্যাজিন ৫০০ মি.গ্রা.
- Adiz 500 mg – এডিজ ৫০০ মি.গ্রা.
- Azithromycin 500 mg – এজিথ্রোমাইসিন ৫০০ মি.গ্রা.
- Cefixime 200 mg – সেফিক্সিম ২০০ মি.গ্রা.
- Adiz 250 mg – এডিজ ২৫০ মি.গ্রা.
- Bactine 750 mg – ব্যাকটিন ৭৫০ মি.গ্রা.
- Bactine 250 mg – ব্যাকটিন ২৫০ মি.গ্রা.
জ্বর হলে উল্লেখিত এন্টিবায়োটিক গুলোর যেকোন একটি নিয়ম অনুযায়ী সেবন করলে খুব দ্রুত জ্বর নিরাময় হয়ে যাযে।
জ্বরের এন্টিবায়োটিক খাওয়ার নিয়ম ।
উপরে আমরা জেনেছি জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম বাংলাদেশ সম্পর্কে এখন আমরা জানবো উল্লেখিত জ্বরের এন্টিবায়োটিক খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। একটি ঔষধের পূর্ণাঙ্গ কার্যকরীতা পাওয়া যায় সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে। চলুন তাহলে জেনে নিই জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
জ্বরের এন্টিবায়োটিক খাওয়ার নিয়ম গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:
- Ciprocin 500 mg : সিপ্রোসিন এ ট্যাবলেটি প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে দিনে দু’বার সেবন করতে হবে এবং বাচ্চাদের একটি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে।
- Cef-3 200 mg : সেফ-৩ সিপ্রোসিন এ ট্যাবলেটি প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে দিনে একটি ট্যবলেট সেবন করতে হবে।
- Clavurox 500 : ক্ল্যাভুরক্স এই ট্যাবলেটটি প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে দৈনিক একটি ট্যাবলেট রাতে খাওয়ার পরে সেবন করতে হবে।
- Neofloxin 500 : নিউফ্লক্সিন এটি দৈনিক দুটি ট্যাবলেট সকালে ও রাতে সেবন করতে হবে এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দৈনিক একটি ট্যাবলেট রাতে সেবন করতে হবে।
- Amoxicillin : অ্যামোক্সিসিলিন এ ট্যাবলেটটি দৈনিক দু’বার সকালে ও রাতে সেবন করতে হবে এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ করতে হবে।
- Doxycycline : ডক্সিসাইক্লিন এই ট্যাবলেটটি প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে দৈনিক ১/২টি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে।
Zimax 500 mg : জিম্যাক্স এই ট্যাবলেটটি বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দৈনিক ১টি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে জিম্যাক্স ব্যবহারের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ১ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে জিম্যাক্স নিষিদ্ধ।
- Zimax 250 mg : জিম্যাক্স ২৫০ এই ট্যাবলেটটি বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দৈনিক ২টি ট্যাবলেট সকালেও রাতে সেবন করতে হবে এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে একটি ট্যাবলেট রাতে সেবন করতে হবে।
- Azin 500 mg : এ্যাজিন এটি প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে দিনে একটি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এ্যাজিন ব্যবহারের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেবন করতে হবে।
- Adiz 500 mg : এডিজ এই ট্যাবলেটটিও প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য দিনে একটি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ব্যবহারে পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
- Azithromycin 500 mg : এজিথ্রোমাইসিন এই ট্যাবলেটটি প্রাপ্তবয়স্ক এবং বাচ্চাদের উভয়ের ক্ষেত্রেই দৈনিক একটি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে।
- Cefixime 200 mg : সেফিক্সিম এই ট্যাবলেটটি প্রাপ্তবয়স্ক এবং বাচ্চাদের উভয়ের ক্ষেত্রেই দৈনিক একটি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে। তবে ৬ বছরের কম বয়সীদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
- Adiz 250 mg : এডিজ এটি প্রাপ্তবয়স্করা দৈনিক ১-২ টি ট্যাবলেট সেবন করতে পারেন এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দৈনিক ১ টি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে।
- Bactine 750 mg : ব্যাকটিন এই ট্যাবলেটটি প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে দৈনিক দু’বার সকালে এবং রাতে সেবন করতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ব্যাকটিন দৈনিক একটি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে।
- Bactine 250 mg : ব্যাকটিন এই ট্যাবলেটটি প্রাপ্তবয়স্ক এবং বাচ্চাদের উভয়ের ক্ষেত্রেই দুটি ট্যাবলেট সকালেও রাতে খাবার পর সেবন করতে হবে।
তবে জ্বরের ধরন এবং প্রতিক্রিয়ার উপর নির্ভর করে ঔষধ গুলো সেবনের নিয়ম পরিবর্তিত হতে পারে।
জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধ এর দাম।
এতোক্ষণ আমরা জেনেছি জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম বাংলাদেশ এবং ঔষধ গুলো ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে। এখন আমরা জানবো উল্লেখিত ঔষধ গুলোর মূল্য সম্পর্কে।
জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধের মূল্য নিচে উল্লেখ করা হলো:
Ciprocin 500 mg – সিপ্রোসিন ৫০০ মি.গ্রা.
- সিপ্রোসিন ৫০০ মি.গ্রা. এর একটি ট্যাবলেটের মূল্য ১৫ টাকা।
- সিপ্রোসিন এক পাতার মূল্য ১৫০ টাকা।
Cef-3 200 mg – সেফ-৩ ২০০ মি.গ্রা.
- সেফ-৩ ২০০ মি.গ্রা. এর একটি ট্যাবলেটের মূল্য ৩৪ টাকা।
- এক পাতা বা ৭ টি ট্যাবলেটের মূল্য ২৩৫ টাকা।
Clavurox 500 – ক্ল্যাভুরক্স ৫০০
- ক্ল্যাভুরক্স ৫০০ এর একটি ট্যাবলেটের মূল্য ৬০ টাকা।
- এক পাতা বা ৭ টি ট্যাবলেটের মূল্য ৪২০ টাকা।
Neofloxin 500 – নিউফ্লক্সিন ৫০০
- নিউফ্লক্সিন ৫০০ এর একটি ট্যাবলেটের মূল্য ১৫ টাকা।
- এক পাতার মূল্য ১৫০ টাকা।
Amoxicillin – অ্যামোক্সিসিলিন
- অ্যামোক্সিসিলিন এর একটি ট্যাবলেটের মূল্য ৬ টাকা।
- এক পাতা বা ১০ টি ট্যাবলেটের মূল্য ৫৫ টাকা।
Doxycycline – ডক্সিসাইক্লিন
- ডক্সিসাইক্লিন এর একটি ট্যাবলেটের মূল্য ৫ টাকা।
- ডক্সিসাইক্লিন এক পাতা বা ১০ টি ট্যাবলেটের মূল্য ৪৫ টাকা।
Zimax 500 mg – জিম্যাক্স ৫০০ মি.গ্রা.
- জিম্যাক্স ৫০০ এর একটি ট্যাবলেটের মূল্য ৪০ টাকা।
- জিম্যাক্স ১ পাতা বা ৬টি ট্যাবলেটের মূল্য ২৪০ টাকা।
Zimax 250 mg – জিম্যাক্স ২৫০ মি.গ্রা.
- জিম্যাক্স ২৫০ এর একটি ট্যাবলেটের মূল্য ২৫ টাকা।
- এর এক পাতা বা ৬ টি ট্যাবলেটের মূল্য ১৪৮ টাকা।
Azin 500 mg – এ্যাজিন ৫০০মি.গ্রা.
- এ্যাজিন ৫০০ এর ১টি ট্যাবলেটের মূল্য ৫৫ টাকা।
- এর ৬টি ট্যাবলেট বা এক পাতার মূল্য ৩২০ টাকা।
Adiz 500 mg – এডিজ ৫০০ মি.গ্রা.
- এডিজ ৫০০ এর ১টি ট্যাবলেটের মূল্য ৪৫ টাকা।
- এর ৪টি ট্যাবলেট বা এক পাতার মূল্য ১৮০ টাকা।
Azithromycin 500 mg – এজিথ্রোমাইসিন ৫০০ মি.গ্রা.
- এজিথ্রোমাইসিন ৫০০ এর ১টি ট্যাবলেটের মূল্য ৩০ টাকা।
- এজিথ্রোমাইসিন এর ৬টি ট্যাবলেট বা এক পাতার মূল্য ১৮০ টাকা।
Cefixime 200 mg – সেফিক্সিম ২০০ মি.গ্রা.
- সেফিক্সিম ২০০ এর ১টি ট্যাবলেটের মূল্য ৪৫ টাকা।
- সেফিক্সিম ২০০ এর ৭টি ট্যাবলেট বা এক পাতার মূল্য ৩১৫ টাকা।
Adiz 250 mg – এডিজ ২৫০ মি.গ্রা.
- এডিজ ২৫০ এর এক পাতা বা ৬টি ট্যাবলেটের মূল্য ১৫০ টাকা।
- একটি এডিজ ২৫০ ট্যাবলেটের মূল্য ২৫ টাকা।
Bactin 750 mg – ব্যাকটিন ৭৫০ মি.গ্রা.
- ব্যাকটিন ৭৫০ এর একটি ট্যাবলেটের মূল্য ১৮ টাকা।
- ব্যাকটিন এক পাতা বা ১০ টি ট্যাবলেটের মূল্য ১৭৫ টাকা।
Bactin 250 mg – ব্যাকটিন ২৫০ মি.গ্রা.
- ব্যাকটিন ২৫০ এর একটি ট্যাবলেটের মূল্য ৮ টাকা।
- ব্যাকটিন ২৫০ এক পাতা বা ১০ টি ট্যাবলেটের মূল্য ৮০ টাকা।
উল্লেখিত জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধ গুলোর মূল্য সময় এবং স্থান বেধে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।
জ্বরের এন্টিবায়োটিক এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ।
এন্টিবায়োটিক যেমন দ্রুত রোগ সারাতে বেশ কার্যকরী হয় তার পাশাপাশি সে এন্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও প্রতিফলিত হয়। সাধারনত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে কোন ঔষধের অতিরিক্ত ব্যবহার বা নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার না করার ফলে।
জ্বরের এন্টিবায়োটিক গুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আমাদের শরীরে তেমন ক্ষতিকর প্রভাব না ফেললেও আমাদের সতর্ক হওয়া জরুরি। এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। চলুন তাহলে জেনে নিই জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম বাংলাদেশ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো সম্পর্কে।
জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:
- অতিরিক্ত ঘুম পাওয়া।
- শরীর দূর্বল হয়ে যাওয়া।
- পেট খারাপ বা ডায়রিয়া হওয়া।
- হালকা মাথা ঘোরানো।
- হালকা হালকা মাথা ব্যাথা করা।
- খাবারের প্রতি অনিহা হতে পারে।
- পেটে ব্যাথা হওয়া।
- কোনো কোনো সময় ভমি হওয়া।
সাধারণত জ্বরের এন্টিবায়োটিক সেবনের পরে উল্লেখিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলে লক্ষ্য করা যায়। এন্টিবায়োটিক সেবনের পর এ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো রোগ করতে বেশি বেশি পানি পান করুন।
ভাইরাস জ্বরের এন্টিবায়োটিক ।
এতোক্ষণ আমরা জেনেছি জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম বাংলাদেশ এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে। এখন আমরা জানবো ভাইরাস জ্বরের এন্টিবায়োটিক কোন গুলো ইত্যাদি সম্পর্কে। ইতিমধ্যে আমরা আলোচনা করেছি জ্বরের এন্টিবায়োটিক গুলো সম্পর্কে।
এই এন্টিবায়োটিক গুলোই মূলত ভাইরাস জ্বর নিরাময় করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তার মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত কার্যকরী কয়েকটি এন্টিবায়োটিকের নাম নিচে তুলে ধরা হয়েছে।
ভাইরাস জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধ গুলো হলো:
- সেফ-৩ ২০০ মি.গ্রা. ( Cef-3 200 mg )
- সেফিক্সিম ২০০ মি.গ্রা. ( Cefixime 200 mg )
- এডিজ ৫০০ মি.গ্রা. ( Adiz 500 mg )
- এ্যাজিন ৫০০ মি.গ্রা. ( Azin 500 mg )
- জিম্যাক্স ৫০০ মি.গ্রা. ( Zimax 500 mg )
- ক্ল্যাভুরক্স ৫০০ ( Clavurox 500 )
- ব্যাকটিন ৭৫০ মি.গ্রা. ( Bactin 750 mg )
উল্লেখিত এই এন্টিবায়োটিক ঔষধ গুলো ভাইরাস জ্বর দ্রুত সময়ে নিরাময় করতে বেশ কার্যকরী হয়ে থাকে। মনে রাখতে হবে উল্লেখিত ঔষধ গুলো অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী সেবন করতে হবে।
জ্বরের এন্টিবায়োটিক সিরাপ এর নাম।
জ্বরের এন্টিবায়োটিক সিরাপ সাধারণত শিশু বাচ্চা এবং অতি বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। জ্বরের এন্টিবায়োটিক সিরাপ গুলো সাধারণত ১ বছরের কম বয়সীদের শিশুদের ক্ষেত্রে সেবন করানো হয়ে থাকে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক জ্বরের এন্টিবায়োটিক সিরাপ গুলো সম্পর্কে।
নিচে জ্বরের এন্টিবায়োটিক সিরাপ এর নাম গুলো উল্লেখ করা হলো:
- Zimax 50 ml – জিম্যাক্স ৫০ মিলি.
- Cef-3 75 ml – সেফ-৩ ৭৫ মিলি.
- Cefixime 50 ml – সেফিক্সিম ৫০ মিলি.
- Adiz 50 ml – এডিজ ৫০ মিলি.
- Cefim-3 75 ml – সেফিম-৩ ৭৫ মিলি.
- Clavurox 50 ml – ক্ল্যাভুরক্স ৫০ মিলি.
- Azin 50 ml – এ্যাজিন ৫০ মিলি.
- Fix-A 75 ml – ফিক্স-এ ৭৫ মিলি.
উল্লেখিত জ্বরের এন্টিবায়োটিক সিরাপ গুলো খুব দ্রুত সময়ে জ্বর নিরাময় করতে বেশ কার্যকরী হয়ে থাকে। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে যেকোনো ঔষধ প্রয়েগের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম বাংলাদেশ ।
জ্বর হলে কি এন্টিবায়োটিক খাওয়া যায় ?
উপরে আমরা জেনেছি জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। এখন আমরা জানবো জ্বর হলে কি শুরুতেই এন্টিবায়োটিক খাওয়া যায় কিনা ইত্যাদি সম্পর্কে। যদি আপনার জিজ্ঞাসা হয়ে থাকে যে জ্ব হলে শুরুতেই এন্টিবায়োটিক খাওয়া যায় কিনা তার উত্তর হলো না।
জ্বরের শুরুতেই এন্টিবায়োটিক খাওয়া উচিত নয়। কেননা এন্টিবায়োটিকে বিভিন্ন রকমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। জ্বর হলে শুরুতেই ঘরোয়া সাধারণত চিকিৎসা গ্রহন করুন। এরপর জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ রয়েছে সেগুলো সেবন করুন।
এই ঔষধ গুলো সেবনের তিন পরও যদি জ্বর থাকে সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে জ্বরের এন্টিবায়োটিক সেবন করুন। জ্বরের এন্টিবায়োটিক সেবনের পর পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।