গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ এবং দাম।

ছোট বড় সকলেরই কম বেশি গলা ব্যথা হয়ে থাকে যা একটি স্বাভাবিক এবং সাধারণ সমস্যা। গলা ব্যথা সাধারণ সমস্যা হলেও এটি বেশ কষ্টদায়ক একটি রোগ। গলায় ব্যথা হলে ঢোক গিলতে এবং খাবার খাওয়ার সময় তীব্র ব্যথা হয়। তাই গলা ব্যথা আমাদের বেশ অস্বস্তি বোধ হয়ে থাকে। তাই গলা ব্যথা হলে আমরা এটি দ্রুত নিরাময় করতে চাই। এজন্য আমরা জানতে চাই গলা ব্যথার ঔষধ এবং গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ ইত্যাদি সম্পর্কে।

গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ এবং সঠিক ব্যবহার

গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ

শীতের মৌসুমে গলা ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এটি যথেষ্ট অস্বস্তি সৃষ্টি করে। গলা ব্যথা সাধারণ একটি সমস্যা যা ঠান্ডা, ভাইরাল ইনফেকশন বা অতিরিক্ত কথা বলার ফলে হতে পারে। দ্রুত গলা ব্যথা নিরাময়ের জন্য বেশ কিছু কার্যকরী ট্যাবলেট রয়েছে যা দ্রুত গলা ব্যথার সমাধান দিতে পারে। গলা ব্যথার এই ঔষধ গুলো দ্রুত গলার প্রদাহ কমায় এবং এবং আমাদের স্বস্তি প্রদান করে। তবে এই ট্যাবলেট গুলো সেবনের পূর্বে আমাদের ট্যাবলেট গুলের সঠিক ডোজ এবং ব্যবহারের নির্দেশনা গুলো জানা অত্যন্ত জরুরি।

গলা ব্যথার কারণ কি ?

বিভিন্ন কারনেই গলায় ব্যথা হতে পারে তবে সবচেয়ে বেশি গলায় ব্যথা হয় ঠান্ডা বা সর্দি কাশি থেকে। তাছাড়াও আরও বিভিন্ন কারনে গলায় ব্যথা হয়ে থাকে সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। অতিরিক্ত কাশি হওয়ার ফলে গলায় ব্যথা হয়ে থাকে। গলার ভিতরে টনসিল সংক্রামিত হলে গলায় ব্যথা হয়ে থাকে। অনেক সময় অ্যালার্জির কারনে গলায় ব্যথা হয়ে থাকে।অতিরিক্ত গরম আবহাওয়ায় পরিমান মতো পানি পান না করার ফলে গলায় ব্যথা হয়ে থাকে। তাছাড়া দীর্ঘদিন ধুমপান করলে মাঝে মাঝে গলায় ব্যথা হয়ে থাকে। সাধারণত উল্লেখিত এ সমস্যা গুলোর জন্যই গলায় ব্যথার সৃষ্টি হয়ে থাকে।

গলা ব্যথার প্রধান লক্ষণ।

গলা ব্যথা হলে তা বেশ কিছু লক্ষণ এর মাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে থাকে। গলা ব্যথার বেশ কয়েকটি প্রধান লক্ষণ রয়েছে।

নিচে গলা ব্যথার লক্ষণ গুলো উল্লেখ করা হলো:

  • কথা বলা এবং ঢোক গিলার সময় গলায় ব্যথা করা।
  • গলা ফোলে যাওয়া ও লালচে হয়ে যাওয়া।
  • কন্ঠ স্বরের পরিবর্তন হওয়া বা গলা ভেঙে য়াওয়া।
  • গলা ব্যথা হলে হালকা জ্বর হওয়া।
  • গলা ব্যথা হলে শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া।
  • অস্বস্তি বোধ করা।

সাধারণত গলা ব্যথা হলে উল্লেখিত লক্ষণ গুলো প্রাকাশিত হয়ে থাকে।

গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ । 

গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ

গলায় ব্যথা করা যা একটি যা একটি যন্ত্রণাদায়ক রোগ। গলায় ব্যথা হলে ঢোক গিলতে এবং খাওয়া দাওয়া করতে আমাদের সমস্যা হয়ে থাকে। সাধরণত গলার টনসিল সংক্রামিত হওয়ার ফলে গলায় এ তীব্র ব্যথা হয়ে থাকে। গলায় ব্যথা হলে আমরা দ্রুত এটি নিরাময় করতে চাই। তাই আমরা জানতে চাই গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ সম্পর্কে।

নিচে গলা ব্যথার ট্যাবলেটের নাম গুলো উল্লেখ করা হলো:

  1. Doxicap 100 mg – ডক্সিকেপ ১০০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট
  2. Doxin 100 mg – ডক্সিন ১০০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট
  3. Doxiva 200 mg – ডক্সিভা ২০০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট
  4. Napa Extend 650 mg – নাপা এক্সটেন্ড ৬৫০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট
  5. Moxacil 500 mg – মোক্সাসিল ৫০০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট
  6. Rolac 10 mg – রোলাক ১০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট
  7. Tamen Turbo 500 mg – টামেন টার্বো ৫০০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট
  8. E fix 100 mg – ই ফিক্স ১০০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট
  9. Solivo 500 mg – সলিভো ৫০০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট
  10. Ace XR 665 mg – এইস এক্স আর ৬৬৫ মি.গ্রা. ট্যাবলেট

উল্লেখিত এ ট্যাবলেট গুলো দ্রুত গলা ব্যথা নিরাময় করতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। টনসিলের কারনে গলায় ব্যাথা করলে উল্লেখিত যেকোনো একটি ট্যাবলেট নিয়ম অনুসারে সেবন করলে দ্রুত ব্যথা নিরাময় হতে শুরু করে।

গলা ব্যথা হলে করণীয় কি ?

গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ

গলা ব্যথা হলে প্রাথমিক অবস্থায় বেশ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে ব্যথা নিরাময় করা যায়।

নিচে গলা ব্যথা নিরাময়ের উপায় গুলো উল্লেখ করা হলো:

লেবু পানি

গলা ব্যথা নিরাময় করার জন্য হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে তা কয়েক ঘন্টা পর পর সেবন করতে হবে। এটি গলা ব্যথা নিরাময় করতে বেশ কার্যকরী হয়ে থাকে।

মধু ও লেবু

মধু এবং লেবুর কয়েক ফোটা রস একসাথে মিশিয়ে সেবন করতে হবে। এভাবে দিনে তিনবার ৩-৪ দিন সেবন করলে গলার ব্যথা নিরাময় হয়ে যাবে।

আদা চা

হালকা কুসুম গরম পানিতে কিছুটা পরিমান আদার টুকরো পানিতে দিয়ে খেতে হবে। এভাবে দিনে ২ – ৩ বার সেবন করতে হবে।

লবন পানির গার্গল

গলায় ব্যথা হলে গরম পানি দিয়ে গার্গল করলে দ্রুত এ ব্যথা নিরাময় হয়। হালকা কুসুম গরম পানিতে পরিমান মতো লবন মিশিয়ে দিনে তিনবার গার্গল করতে হবে। এটি ব্যথা নিরাময় হওয়া পর্যন্ত করতে হবে।

উল্লেখিত এ ঘরোয়া উপায় গুলো সঠিক নিয়মে অবলম্বন করলে ২-৩ দিনের মধ্যে গলা ব্যথা নিরাময় হয়ে যাবে।

গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর ব্যবহার বিধি।

এতোক্ষণ আমরা জেনেছি গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ এবং এর দাম সম্পর্কে। এখন আমরা জানবো উল্লেখিত ঔষধ গুলোর ব্যবহার সম্পর্কে। যেকোন ঔষধ থেকে কার্যকরী ফলাফল পেতে তা সঠিক নিয়মে সেবন করতে হবে।

নিচে গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর ব্যবহার বিধি উল্লেখ করা হলো:

Doxicap 100 mg : ডক্সিকেপ ১০০ এ ট্যাবলেটটি প্রাপ্ত বয়স্করা দিনে তিনবার সেবন করবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দিনে দু’বার খাওয়ার পরে সেবন করাতে হবে।

Doxin 100 mg : ডক্সিন ১০০ এ ট্যাবলেটটি প্রাপ্ত বয়স্করা দিনে তিনবার সেবন করবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দিনে দু’বার খাওয়ার পরে সেবন করাতে হবে।

Doxiva 200 mg : ডক্সিভা ২০০ এ ট্যাবলেটটি প্রাপ্ত বয়স্করা দিনে দু’বার সেবন করবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দিনে একবার খাওয়ার পরে সেবন করাতে হবে।

Napa Extend 650 mg : নাপা এক্সটেন্ড ৬৫০ এ ট্যাবলেটটি প্রাপ্ত বয়স্করা দিনে তিনবার সেবন করবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দিনে দু’বার খাওয়ার পরে সেবন করাতে হবে।

Moxacil 500 mg : মোক্সাসিল ৫০০ এ ট্যাবলেটটি প্রাপ্ত বয়স্করা দিনে দু’বার সেবন করবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দিনে একবার খাওয়ার পরে সেবন করাতে হবে।

Rolac 10 mg : রোলাক ১০ এ ট্যাবলেটটি প্রাপ্ত বয়স্করা দিনে ১/২ বার সেবন করবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এ ট্যাবলেটটি সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

Tamen Turbo 500 mg : টামেন টার্বো ৫০০ এ ট্যাবলেটটি প্রাপ্ত বয়স্করা দিনে তিনবার সেবন করবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দিনে দু’বার খাওয়ার পরে সেবন করাতে হবে।

E fix 100 mg : ই ফিক্স ১০০ এ ট্যাবলেটটিও প্রাপ্ত বয়স্করা দিনে ১/২ বার সেবন করবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এ ট্যাবলেটটি সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

Solivo 500 mg : সলিভো ৫০০ এ ট্যাবলেটটি প্রাপ্ত বয়স্করা দিনে একবার সেবন করবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই ট্যাবলেটটি সেবন নিষিদ্ধ।

Ace XR 665 mg : এইস এক্স আর ৬৬৫ এ ট্যাবলেটটি প্রাপ্ত বয়স্করা দিনে তিনবার সেবন করবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দিনে দু’বার খাওয়ার পরে সেবন করাতে হবে।

তবে গলা ব্যথা চরমম পর্যায়ে পৌছালে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন করতে হবে।

গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর দাম।

উপরে আমরা জেনেছি গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ সম্পর্কে। এখন আমরা জানবো উল্লেখিত এ গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর দাম সম্পর্কে।

নিচে উল্লেখিত ঔষধ গুলোর মূল্য তুলে ধরা হলো:

  • Doxicap 100 mg – ডক্সিকেপ ১০০ মি.গ্রা.: একটি ট্যাবলেটের মূল্য ২.৫টাকা এবং এক পাতার মূল্য ২৫ টাকা।
  • Doxin 100 mg – ডক্সিন ১০০ মি.গ্রা.: একটি ডক্সিন ১০০ ট্যাবলেটের মূল্য ২.২০ টাকা এবং এক পাতার মূল্য ২২ টাকা।
  • Doxiva 200 mg – ডক্সিভা ২০০ মি.গ্রা.: একটি  ট্যাবলেটের মূল্য ৮ টাকা এবং এক স্ট্রিপ এর মূল্য ৮০ টাকা।
  • Napa Extend 650 mg – নাপা এক্সটেন্ড ৬৫০ মি.গ্রা.: একটি ট্যাবলেটের মূল্য ২ টাকা এবং এক পাতার মূল্য ২৪ টাকা।
  • Moxacil 500 mg – মোক্সাসিল ৫০০ মি.গ্রা.: একটি ট্যাবলেটের মূল্য ৭.৫ টাকা এবং এক পাতার মূল্য ৭৫ টাকা।
  • Rolac 10 mg – রোলাক ১০ মি.গ্রা.: একটি রোলাক ১০ ট্যাবলেটের মূল্য ১২ টাকা এবং এক পাতার মূল্য ১৬৮ টাকা।
  • Tamen Turbo 500 mg – টামেন টার্বো ৫০০ : একটি ট্যাবলেটের মূল্য ৩ টাকা এবং এক পাতার মূল্য ৩০ টাকা।
  • E fix 100 mg – ই ফিক্স ১০০ মি.গ্রা.:  ই ফিক্স ১০০ এক পাতার মূল্য ১২০ টাকা।
  • Solivo 500 mg – সলিভো ৫০০ মি.গ্রা.: একটি ট্যাবলেটের মূল্য ১৫ টাকা এবং এক পাতা ট্যাবলেটের মূল্য ৯০ টাকা।
  • Ace XR 665 mg – এইস এক্স আর ৬৬৫ মি.গ্রা.: একটি ট্যাবলেটের মূল্য ২ টাকা এবং এক পাতার মূল্য ২০ টাকা।

উল্লেখিত গলা ব্যথার ট্যাবলেট গুলোর মূল্য স্থান বেধে কিছুটা তারতম্য হতে পারে।

গলা ব্যথার এন্টিবায়োটিক ঔষধ এর নাম।

সাধারণত কোন রোগ সাধারণ ঔষধে নিরাময় না হলে তখন এন্টিবায়োটিক ঔষধ ব্যবহার করা হয়। এখন আমরা জানবো গলা ব্যথার এন্টিবায়োটিক ঔষধ এর নাম সম্পর্কে।

নিচে কয়েকটি গলা ব্যথার এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম উল্লেখ করা হলো:

  1. জিম্যাক্স ৫০০ মি.গ্রা. ( Zimax 500 mg Tablet )
  2. রফিউক্লাভ ৫০০ মি.গ্রা. ( Rofuclav 500 mg Tablet )
  3. এজিথ্রাল ৫০০ মি.গ্রা. ( Azithral 500 mg Tablet )
  4. ট্রাইডোসিল ৫০০ এম জি ( Tridosil 500 mg Tablet )

পড়ুন: গলা ব্যাথার ঔষধের নাম

সাধারণত উল্লেখিত এ ট্যাবলেট গুলো ডাক্তাররা গলা ব্যথার এন্টিবায়োটিক হিসেবে সেবন করার নির্দেশ দিয়ে থাকে। গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ ।

গলা ব্যথার এন্টিবায়োটিক ঔষধ এর দাম এবং ব্যবহার বিধি।

উপরে উল্লেখিত গলা ব্যথার এন্টিবায়োটিক ঔষধ এর দাম এবং ব্যবহার বিধি নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

গলা ব্যথার ঔষধের দাম এবং ব্যবহার বিধি নিচে তুলে ধরা হলো:

Zimax (জিম্যাক্স ) 500 mg

জিম্যাক্স ৫০০ এর একটি ট্যাবলেটের মূল্য ৪০ টাকা। এটি দিনে ১ বেলা খাওয়ার পরে সেবন করতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সেবন করার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

Rofuclav (রফিউক্লাভ) 500 mg

রফিউক্লাভ ৫০০ এর একটি ট্যাবলেটের মূল্য ৮৫ টাকা। ছোট বড় সকলের ক্ষেত্রেই এ ট্যাবলেটটি সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

Azithral (এজিথ্রাল) 500 mg 

এজিথ্রাল ৫০০ এর একটি ট্যাবলেটের মূল্য ৩৫ টাকা। এটি প্রাপ্ত বয়স্করা দিনে একটি ট্যাবলেট সেবন করবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

Tridosil (ট্রাইডোসিল) 500 mg

ট্রাইডোসিল ৫০০ এর একটি ট্যাবলেটের মূল্য ৩৫ টাকা। এটি প্রাপ্ত বয়স্করা দিনে একটি ট্যাবলেট সেবন করবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সেবনের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

যেকোনো এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারন এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবনে শরীরে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

FAQ

গলা ব্যথা কমানোর জন্য কী করলে ভালো হয় ?

উত্তর: গলা ব্যথা কমাতে গরম পানি দিয়ে গার্গল করা, মধু-লেবুর রস খাওয়া, বিশ্রাম নেওয়া এবং প্রচুর পানি পান করলে গলা ব্যথা দ্রুত ভালো হয়। এছাড়াও গলা যতটা সম্ভব শুষ্ক না রাখার চেষ্টা করতে হবে।

গলা ব্যথায় কোন এন্টিবায়োটিক খাওয়া যায় ?

উত্তর: গলা ব্যথার জন্য এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। কারণ এটি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ এবং গলা ব্যথার তীব্রতার উপর নির্ভর করে যে কখন এন্টিবায়োটিক খেতে হবে। তাই সঠিক ডোজ ও ওষুধ নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গলা ব্যথার জন্য কোন ওষুধ খেতে হবে ?

উত্তর: গলা ব্যথার জন্য প্রাথমিক অবস্থায় পেইন রিলিভার যেমন প্যারাসিটামল জাতীয় বেশ কিছু ঔষধ রয়েছে তা সেবন করতে পারেন। এরপরও গলা ব্যথা বাড়তে থাকলে উল্লেখিত গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ থেকে যেকোনো একটি ঔষধ নিয়ম মাফিক সেবন করতে হবে। তবে সবর্দা চিকিৎসকের পরামর্শে উপযুক্ত ওষুধ নেয়া উচিত।

গলায় ইনফেকশনের লক্ষণ কি কি ?

উত্তর: গলায় ইনফেকশনের লক্ষণগুলো হলো গলা ব্যথা, জ্বর, কাশি, গলা ফুলে যাওয়া, সর্দি, শ্বাসকষ্ট এবং গলার স্বর পরিবর্তন। এই লক্ষণ গুলো গুরুতর হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ গ্রহন করা উচিত।

গলা ব্যথা হলে কী খাওয়া উচিত ?

উত্তর: গলা ব্যথা হলে নরম এবং স্যুপ জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়, যেমন গরম স্যুপ, দই, পাস্তা বা চালের খিচুড়ি, যা গলা আরাম দেয়। এরপরও গলা ব্যথা না সারলে উল্লেখিত গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ থেকে যেকোনো একটি ঔষধ সেবন করতে হবে।

গলা ব্যথায় কোন চা খেলে ভালো হয় ?

উত্তর: গলা ব্যথায় আদা চা, মধু-লেবুর চা, বা তুলসি পাতা চা উপকারী। এই চা গলার ব্যথা কমায় এবং আরাম দেয়।

শেষ কথা

দ্রুত গলা ব্যথা নিরাময় করতে যারা জানতে চেয়েছেন গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ সম্পর্কে, আশা করছি তারা এই ব্লগটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। এই ব্লগে গলা ব্যথা দ্রুত নিরাময় করতে ট্যাবলেট সহ অন্যান্য উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আশা করছি উল্লেখিত তথ্য এবং উপায় গুলো সঠিক নিয়মে অবলম্বন করলে খুব দ্রুত গলা ব্যথা নিরাময় হয়ে যাবে। আপনি উপকৃত হলে আপনার আশেপাশে যারা তীব্র গলা ব্যথায় ভুগছেন তাদের কাছে ব্লগটি সেয়ার করে দিন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top